কক্সবাজার সংবাদদাতা : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও উন্মুক্ত জায়গায় এবার নিষিদ্ধ ছিল থার্টি ফার্স্ট উদযাপন। তবুও নতুন বছরকে বরণ করতে সৈকতের আকাশে উড়েছে ফানুস, আর আতশবাজিতে নাচ-গানে মেতেছে মানুষ। কিন্তু সকালে সৈকত ছিল অনেকটাই ফাঁকা। গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে দেখা যায়, অন্য বছরের মতো ব্যস্ত নেই সৈকতের কোন পয়েন্ট। ফাঁকা সৈকতে হাঁটাহাঁটি করছে কিছু পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন। তাদের মধ্যে কেউ বিচ বাইকে, কেউ ওয়াটার বাইক জেটস্কিতে কেউবা ঘোড়ায় চড়ে সময় কাটাচ্ছেন। ২১ সালের শেষ ভ্রমণে ৪ দিনের জন্য পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছেন ফরিদপুরের জসিম তালুকদার। বলেন, ‘প্রতি বছরের শেষ দিনটি নিজ জেলার বাইরে কাটাই। ২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার এসেছিলাম। দেখেছি, পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করেছি। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিন সমুদ্র সৈকত এরকম ফাঁকা থাকবে তা ভাবিনি। তারপরও ঝামেলামুক্ত সৈকতে ভালো লাগছে।’ বগুড়া থেকে আসা সাইমুম ইসলাম বলেন, ‘ভেবেছিলাম বছরের প্রথম দিন সৈকতে মানুষ বেশি হবে। কিন্তু সকাল থেকে দুপুরেও মানুষের ভিড় দেখতে পাইনি। তবে ভিড় না থাকাতে ভালো লাগলো।’ সৈকতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন মামুন। মানুষজন এত কম কেন জানতে চাইলে বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত অনেক ক্রেতা ছিল। নতুন বছরের প্রথম দিনেও বেশি ক্রেতা পাবো আশা করছিলাম। কিন্তু দিনটি বিফলে গেল। সকাল থেকে ৩০০ টাকাও বিক্রি করতে পারিনি।’
সৈকতে কর্মরত কয়েকজন কর্মী জানান, ‘৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে সৈকত পর্যটকে ভরপুর ছিল কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনে আশানুরূপ পর্যটক নেই। তাই অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, অন্যান্য বছরের মতো এ বছরে পর্যটক নেই। কক্সবাজারে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে পর্যটক আগমনে ভাটা পড়েছে। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলোতে ৪০ শতাংশ রুম খালি রয়েছে। উন্মুক্ত জায়গায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বা রাতে কক্সবাজার ত্যাগ করায় পর্যটক কমে গেছে। তাই নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যটকের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। তবে আশা রাখছি সব নেতিবাচক দিক কাটিয়ে আবারো কক্সবাজারে ভিড় করবে দেশি-বিদেশি পর্যটক।
সৈকতে নেই নতুন বছরের আমেজ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ