ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সেল্টিকের অজেয় যাত্রা থামিয়ে এগিয়ে গেল বায়ার্ন

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ঘরের মাঠে ছন্দে থাকা সেল্টিকের ৩২ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থামিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। স্নায়ুক্ষয়ী শেষের কঠিন সময় কোনোমতে কাটিয়ে দিয়ে পেল স্বস্তির জয়। সঙ্গে উজ্জ্বল করল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলার আশা। সেল্টিক পার্কে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মাইকেল ওলিসে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান ছন্দে থাকা হ্যারি কেইন। শেষ দিকে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন দাইজেন মায়েদা। শেষের দিকে প্রবল চাপ তৈরি করলেও লম্বা সময়ের মধ্যে ঘরের মাঠে প্রথম হার এড়াতে পারেনি সেল্টিক। ইউরোপ সেরার মঞ্চে টিকে থাকতে তাদের ফিরতি লেগে জিততে হবে বায়ার্নের মাঠে। প্রথম মিনিটেই বায়ার্নের জালে বল পাঠান নিকোলাস কুন। অ্যাডাম আইডা গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের সামনে অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।

অমন শুরুর পর কিছুক্ষণ বায়ার্নকে প্রবল চাপে রাখে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয় কোম্পানির দল। এরপর একের পর এক আক্রমণে গোলের খোঁজ করতে থাকে সফরকারীরা। ৩১তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন লেরয় সানে। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু সতীর্থের বাড়ানো বলে শটই নিতে পারেননি জার্মান ফরোয়ার্ড। ১২ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন কেইন। ওলিসের ক্রসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় বল পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার। ৪৫তম মিনিটে বাঁ পায়ের গতিময় বাঁকানো শটে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন ওলিসে। সতীর্থের বাড়ানোর বল রিসিভ করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে কপাল ভালো ছিল, সেল্টিক ডিফেন্ডার গ্রেগ টেইলরের পায়ে লাগলে পেয়ে যান তিনিই। কেউ এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার আগেই নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি সেল্টিক। ২০০৮ সালের মার্চে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হলো তাদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান কেইন। সানের শট সেল্টিকের একজনের গায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে কর্নার পায় বায়ার্ন। সেটা থেকেই স্কোরলাইন ২-০ করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

এবারও কেইনকে পাহারায় রাখেননি কেউ! জশুয়া কিমিখের কর্নারে দূরের পোস্টে বল পেয়ে চমৎকার ভলিতে জাল খুঁজে নেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৪ ম্যাচে তার গোল হলো ৭৩টি। ৭২তম মিনিটে একটুর জন্য আরও বাড়েনি ব্যবধান। সের্জে জিনাব্রির শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন সেল্টিক গোলরক্ষক কাস্পের স্মাইকেল। সাত মিনিট পর গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন মায়েদা। কর্নার থেকে বল পেয়ে ইয়াং হিয়ুন-জুন খুঁজে নেন জাপানের ফরোয়ার্ডকে। খুব কাছ থেকে অনায়াসে বল জালে পাঠান তিনি। লক্ষ্যে এটাই সেল্টিকের প্রথম শট! ঘরের মাঠে শেষ দুই ম্যাচে ৬-০ ও ৫-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া দলটি বাকি সময়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া ছিল। কিন্তু বায়ার্নের জমাট রক্ষণ আর ভাঙতে পারেনি ব্রেন্ডন রজার্সের দল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অ্যালেস্টার জনস্টনের শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন নয়ার। স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। এদিনই প্লে-অফের প্রথম লেগের অন্য ম্যাচে আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রুজ। ১০ জনের মোনাকোকে ১-০ গোল হারিয়েছে বেনফিকা। এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফেইনুর্ড।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেল্টিকের অজেয় যাত্রা থামিয়ে এগিয়ে গেল বায়ার্ন

আপডেট সময় : ০৪:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ঘরের মাঠে ছন্দে থাকা সেল্টিকের ৩২ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থামিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। স্নায়ুক্ষয়ী শেষের কঠিন সময় কোনোমতে কাটিয়ে দিয়ে পেল স্বস্তির জয়। সঙ্গে উজ্জ্বল করল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলার আশা। সেল্টিক পার্কে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে মাইকেল ওলিসে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান ছন্দে থাকা হ্যারি কেইন। শেষ দিকে ব্যবধান কমিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন দাইজেন মায়েদা। শেষের দিকে প্রবল চাপ তৈরি করলেও লম্বা সময়ের মধ্যে ঘরের মাঠে প্রথম হার এড়াতে পারেনি সেল্টিক। ইউরোপ সেরার মঞ্চে টিকে থাকতে তাদের ফিরতি লেগে জিততে হবে বায়ার্নের মাঠে। প্রথম মিনিটেই বায়ার্নের জালে বল পাঠান নিকোলাস কুন। অ্যাডাম আইডা গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের সামনে অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।

অমন শুরুর পর কিছুক্ষণ বায়ার্নকে প্রবল চাপে রাখে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয় কোম্পানির দল। এরপর একের পর এক আক্রমণে গোলের খোঁজ করতে থাকে সফরকারীরা। ৩১তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন লেরয় সানে। গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু সতীর্থের বাড়ানো বলে শটই নিতে পারেননি জার্মান ফরোয়ার্ড। ১২ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন কেইন। ওলিসের ক্রসে দূরের পোস্টে ফাঁকায় বল পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইংলিশ স্ট্রাইকার। ৪৫তম মিনিটে বাঁ পায়ের গতিময় বাঁকানো শটে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন ওলিসে। সতীর্থের বাড়ানোর বল রিসিভ করলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে কপাল ভালো ছিল, সেল্টিক ডিফেন্ডার গ্রেগ টেইলরের পায়ে লাগলে পেয়ে যান তিনিই। কেউ এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার আগেই নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফরাসি মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে গোলের জন্য কোনো শটই নিতে পারেনি সেল্টিক। ২০০৮ সালের মার্চে বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হলো তাদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান কেইন। সানের শট সেল্টিকের একজনের গায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে কর্নার পায় বায়ার্ন। সেটা থেকেই স্কোরলাইন ২-০ করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

এবারও কেইনকে পাহারায় রাখেননি কেউ! জশুয়া কিমিখের কর্নারে দূরের পোস্টে বল পেয়ে চমৎকার ভলিতে জাল খুঁজে নেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭৪ ম্যাচে তার গোল হলো ৭৩টি। ৭২তম মিনিটে একটুর জন্য আরও বাড়েনি ব্যবধান। সের্জে জিনাব্রির শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন সেল্টিক গোলরক্ষক কাস্পের স্মাইকেল। সাত মিনিট পর গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেন মায়েদা। কর্নার থেকে বল পেয়ে ইয়াং হিয়ুন-জুন খুঁজে নেন জাপানের ফরোয়ার্ডকে। খুব কাছ থেকে অনায়াসে বল জালে পাঠান তিনি। লক্ষ্যে এটাই সেল্টিকের প্রথম শট! ঘরের মাঠে শেষ দুই ম্যাচে ৬-০ ও ৫-০ ব্যবধানে জয় পাওয়া দলটি বাকি সময়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া ছিল। কিন্তু বায়ার্নের জমাট রক্ষণ আর ভাঙতে পারেনি ব্রেন্ডন রজার্সের দল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অ্যালেস্টার জনস্টনের শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন নয়ার। স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। এদিনই প্লে-অফের প্রথম লেগের অন্য ম্যাচে আতালান্তাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রুজ। ১০ জনের মোনাকোকে ১-০ গোল হারিয়েছে বেনফিকা। এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ফেইনুর্ড।