ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫

সেপ্টেম্বরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৬৯

  • আপডেট সময় : ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৪০৭টি। এর মধ্যে ১৮২টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে আসে। গতকাল সোমবার প্রকাশ হয় প্রতিবেদনটি। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় প্রতিবেদনটি।
এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪০৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৭৬ জন ও ৭৯৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬২ ও শিশু ৭৭ জন। এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৩ জন, অর্থাৎ ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া ঢাকায় ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬২ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শিক্ষক নিহত হয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ১৯-৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৮৪ জন, অর্থাৎ ৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭৮ জন নিহত এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৪টি (৩২ দশমিক ৯২ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি (৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়ক এবং ৩৬টি (৮ দশমিক শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য : সড়ক দুর্ঘটনায় গত আগস্ট মাসে ৫১৯ জন নিহত হয়েছিল। তখন গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৪ জন। সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ জন। এই হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাণহানি কমেছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে প্রাণহানি হ্রাসের এই মাত্রা কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেপ্টেম্বরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৬৯

আপডেট সময় : ০২:০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : লতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৪০৭টি। এর মধ্যে ১৮২টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে আসে। গতকাল সোমবার প্রকাশ হয় প্রতিবেদনটি। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় প্রতিবেদনটি।
এতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪০৭টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৭৬ জন ও ৭৯৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬২ ও শিশু ৭৭ জন। এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৩ জন, অর্থাৎ ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া ঢাকায় ২৯টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬২ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শিক্ষক নিহত হয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ১৯-৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৮৪ জন, অর্থাৎ ৮০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭৮ জন নিহত এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। ২১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৪টি (৩২ দশমিক ৯২ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি (৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়ক এবং ৩৬টি (৮ দশমিক শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য : সড়ক দুর্ঘটনায় গত আগস্ট মাসে ৫১৯ জন নিহত হয়েছিল। তখন গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৪ জন। সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৫ দশমিক ৮৬ জন। এই হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসে প্রাণহানি কমেছে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে প্রাণহানি হ্রাসের এই মাত্রা কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না।