ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন’: মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:১২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ‘বিদেশিদের কাছে বন্ধক দিয়ে ক্ষমতা আসতে চায়’ বলে যে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, তাকে ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, “এটা (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) সর্বৈব মিথ্যা কথা। এই কথাগুলো বলে উনি কিছু সুবিধা পেতে চান।ৃসেই সুবিধা যদি উল্টো হয়, এটা উনি বোঝেন না।” গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান মির্জা ফখরুল। বুধবার সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখনও যদি বলি যে, না, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নাই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। “২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি তো এটুকু বলতে পারি যে, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা। আমার হাত থেকে এদেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।” ওই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, “উনি (শেখ হাসিনা) এসব কথা বলেছেন উনার অফিশিয়াল পজিশন অ্যজ প্রাইম মিনিস্টার থেকে? নাকি অ্যাজ প্রেসিডেন্ট অব আওয়ামী লীগ?“এখন আমি তাকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করতে চাইৃ উনি বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা এনেছেন, মিথ্যা অভিযোগ, সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ, এটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে পড়ে কি না। এটা আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে প্রশ্ন থাকল।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা সম্পূর্ণ পলিটিক্যাল স্টান্ট, উনি যেটা বলেছেন, আমি এক বিন্দু জীবন থাকতে দেব নাৃ এই কথাটা সম্পূর্ণৃ। উনি যখন হেরে গেলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে, তখনও উনি একই কথা বলেছেন।” বিএনপি সব সময় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতার রক্ষায় ‘ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে’ দাবি করে ফখরুল বলেন, তার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিংবা বর্তমান নেতা খালেদা জিয়া কখনো এমন কিছু ‘করেননি’, যাতে বলা যায় যে বিএনপি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে।
বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই ‘বহু অভিযোগ’ আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মানুষকে উনারা এত বোকা ভাবেন, কেন জনগণকে এত বোকা ভাবেন? এই সমস্ত বলে যে পার পাবেন না, এটা তার বোঝা উচিত।” মির্জা ফখরুল বলেন, “তার (শেখ হাসিনা) কাছে আহ্বান, এখনো সময় আছে, দয়া করে জনগণের যে ভাষা, জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, সেটা দেখুন এবং যে চাহিদা সেটা দেখুন। জনগণ চাচ্ছে এই মুহূর্তে আপনারা সরে যানৃ এটাই চাচ্ছে জনগণ।” গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মো. মনির হোসেন, আনম সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ যুব দলের সাঈদ হাসান মিন্টু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদ মোরশেদ পাপ্পা, মহানগনর দক্ষিণ কৃষক দলের হাজী মো. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশা ও পূর্ব ছাত্রদলের মোহাম্মদ আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন’: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:১২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ‘বিদেশিদের কাছে বন্ধক দিয়ে ক্ষমতা আসতে চায়’ বলে যে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, তাকে ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, “এটা (প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য) সর্বৈব মিথ্যা কথা। এই কথাগুলো বলে উনি কিছু সুবিধা পেতে চান।ৃসেই সুবিধা যদি উল্টো হয়, এটা উনি বোঝেন না।” গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান মির্জা ফখরুল। বুধবার সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখনও যদি বলি যে, না, ওই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমার ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নাই, আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না। “২০০১ সালে বিএনপি ‘গ্যাস বিক্রি করার’ মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়? আমি তো এটুকু বলতে পারি যে, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা। আমার হাত থেকে এদেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে আমি ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।” ওই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, “উনি (শেখ হাসিনা) এসব কথা বলেছেন উনার অফিশিয়াল পজিশন অ্যজ প্রাইম মিনিস্টার থেকে? নাকি অ্যাজ প্রেসিডেন্ট অব আওয়ামী লীগ?“এখন আমি তাকেই (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করতে চাইৃ উনি বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগটা এনেছেন, মিথ্যা অভিযোগ, সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ, এটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে পড়ে কি না। এটা আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে প্রশ্ন থাকল।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা সম্পূর্ণ পলিটিক্যাল স্টান্ট, উনি যেটা বলেছেন, আমি এক বিন্দু জীবন থাকতে দেব নাৃ এই কথাটা সম্পূর্ণৃ। উনি যখন হেরে গেলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে, তখনও উনি একই কথা বলেছেন।” বিএনপি সব সময় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতার রক্ষায় ‘ত্যাগ স্বীকার করে এসেছে’ দাবি করে ফখরুল বলেন, তার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিংবা বর্তমান নেতা খালেদা জিয়া কখনো এমন কিছু ‘করেননি’, যাতে বলা যায় যে বিএনপি দেশ বিক্রি করে দিয়েছে।
বরং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই ‘বহু অভিযোগ’ আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মানুষকে উনারা এত বোকা ভাবেন, কেন জনগণকে এত বোকা ভাবেন? এই সমস্ত বলে যে পার পাবেন না, এটা তার বোঝা উচিত।” মির্জা ফখরুল বলেন, “তার (শেখ হাসিনা) কাছে আহ্বান, এখনো সময় আছে, দয়া করে জনগণের যে ভাষা, জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, সেটা দেখুন এবং যে চাহিদা সেটা দেখুন। জনগণ চাচ্ছে এই মুহূর্তে আপনারা সরে যানৃ এটাই চাচ্ছে জনগণ।” গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, আবদুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মো. মনির হোসেন, আনম সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ যুব দলের সাঈদ হাসান মিন্টু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদ মোরশেদ পাপ্পা, মহানগনর দক্ষিণ কৃষক দলের হাজী মো. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদশা ও পূর্ব ছাত্রদলের মোহাম্মদ আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।