ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

সেন্টমার্টিনে জাহাজ ও পর্যটক সীমিত করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করলে পর্যটনশিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়েছেন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (স্কোয়াব)। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার শহরে লাবনী পয়েন্টস্থ হোটেল মিশুকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘স্কোয়াব’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড লিমিটেডের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী ও টুয়াকের প্রতিনিধি এস এ কাজল। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল সীমিত করার চিন্তা করছে বিআইডব্লিউটিএ। মাত্র দুইটি জাহাজ চললে কয়েক হাজার পর্যটক বঞ্চিত হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো পর্যটন শিল্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ব্যবসা। জাহাজ চলাচল বন্ধ হলেও বিকল্প পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের নৌকায় চড়ে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকেরা। সুতরাং যে উদ্দেশে জাহাজ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে তার কোন সুফল আসবে না। বরং ঝুঁকি বাড়বে পর্যটন খাতে। সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা দরকার বলে মনে করেন স্কোয়াব এর প্রতিনিধিরা। লিখিত বক্তব্যে স্কোয়াব নেতা বাহাদুর বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আবেদন ও ব্যাপ্তি বাড়বে বহুগুণে। কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল, শুঁটকি, লবণ, চিংড়িসহ নানা ব্যবসার পরিধি বাড়বে। ৬-৭ লাখ বেকার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে। এসব ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণশক্তি হচ্ছে সেন্টমার্টিন। কারণ, সেন্টমার্টিন ঘিরেই এক তৃতীয়াংশ পর্যটক আগমন ঘটে কক্সবাজারে। কিন্তু সেন্টমার্টিনে যদি পর্যটক সীমিত করা হয়, তাহলে কক্সবাজারে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হোটেল মোটেল ও ব্যবসা এবং পর্যটন খাতে লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগে ধস নামবে। সেন্টমার্টিন সুরক্ষায় আপনার কার্যালয় থেকে ১৩ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে নির্মিত হোটেলসহ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে দ্বীপের ঝুঁকি যেন না বাড়ে সে ব্যাপারে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। দ্বীপের যানবাহন চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মা কচ্ছপের ডিম পাড়ার পরিবেশ সৃষ্টিসহ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে দ্বীপের চতুর্দিকে মাছ ধরার জালফেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিবেশ সংকটাপন্ন ছেরাদিয়া দ্বীপেও পর্যটক যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাহাজ চলাচল সীমিত করার চিন্তা করছে বিআইডব্লিউটিএ। মাত্র দুইটি জাহাজ চললে কয়েক হাজার পর্যটক বঞ্চিত হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো পর্যটন শিল্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ব্যবসা। আমরা জানতে পেরেছি, সেন্টমার্টিনে অদূর ভবিষ্যতে দুইটি জাহাজ চলবে এবং ১২৫০ জন পর্যটক যাতায়াতে সুযোগ পাবে। স্বল্প সংখ্যক পর্যটক ব্যবস্থাপনায় দ্বীপের ১৮৮ টি আবাসিক হোটেলে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সুপারিশ হলো, বর্তমান চলাচলরত ১০টি জাহাজে করে সর্বোচ্চ ৩০০০ পর্যটক যাতায়াত করবে। দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে কক্ষ আছে ১৪০০টি। প্রতি কক্ষে একজন করে দৈনিক ১৪০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রি যাপন করুক। বাকি ১৬০০ পর্যটক গন্তব্যে ফিরে আসুক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেন্টমার্টিনে জাহাজ ও পর্যটক সীমিত করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করলে পর্যটনশিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়েছেন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (স্কোয়াব)। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার শহরে লাবনী পয়েন্টস্থ হোটেল মিশুকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘স্কোয়াব’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড লিমিটেডের প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী ও টুয়াকের প্রতিনিধি এস এ কাজল। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল সীমিত করার চিন্তা করছে বিআইডব্লিউটিএ। মাত্র দুইটি জাহাজ চললে কয়েক হাজার পর্যটক বঞ্চিত হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো পর্যটন শিল্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ব্যবসা। জাহাজ চলাচল বন্ধ হলেও বিকল্প পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঠের নৌকায় চড়ে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকেরা। সুতরাং যে উদ্দেশে জাহাজ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে তার কোন সুফল আসবে না। বরং ঝুঁকি বাড়বে পর্যটন খাতে। সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা দরকার বলে মনে করেন স্কোয়াব এর প্রতিনিধিরা। লিখিত বক্তব্যে স্কোয়াব নেতা বাহাদুর বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আবেদন ও ব্যাপ্তি বাড়বে বহুগুণে। কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল, শুঁটকি, লবণ, চিংড়িসহ নানা ব্যবসার পরিধি বাড়বে। ৬-৭ লাখ বেকার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে। এসব ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম প্রাণশক্তি হচ্ছে সেন্টমার্টিন। কারণ, সেন্টমার্টিন ঘিরেই এক তৃতীয়াংশ পর্যটক আগমন ঘটে কক্সবাজারে। কিন্তু সেন্টমার্টিনে যদি পর্যটক সীমিত করা হয়, তাহলে কক্সবাজারে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হোটেল মোটেল ও ব্যবসা এবং পর্যটন খাতে লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগে ধস নামবে। সেন্টমার্টিন সুরক্ষায় আপনার কার্যালয় থেকে ১৩ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে নির্মিত হোটেলসহ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে দ্বীপের ঝুঁকি যেন না বাড়ে সে ব্যাপারে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। দ্বীপের যানবাহন চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মা কচ্ছপের ডিম পাড়ার পরিবেশ সৃষ্টিসহ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে দ্বীপের চতুর্দিকে মাছ ধরার জালফেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিবেশ সংকটাপন্ন ছেরাদিয়া দ্বীপেও পর্যটক যাতায়াত ও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাহাজ চলাচল সীমিত করার চিন্তা করছে বিআইডব্লিউটিএ। মাত্র দুইটি জাহাজ চললে কয়েক হাজার পর্যটক বঞ্চিত হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো পর্যটন শিল্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ব্যবসা। আমরা জানতে পেরেছি, সেন্টমার্টিনে অদূর ভবিষ্যতে দুইটি জাহাজ চলবে এবং ১২৫০ জন পর্যটক যাতায়াতে সুযোগ পাবে। স্বল্প সংখ্যক পর্যটক ব্যবস্থাপনায় দ্বীপের ১৮৮ টি আবাসিক হোটেলে নতুন সংকট সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সুপারিশ হলো, বর্তমান চলাচলরত ১০টি জাহাজে করে সর্বোচ্চ ৩০০০ পর্যটক যাতায়াত করবে। দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে কক্ষ আছে ১৪০০টি। প্রতি কক্ষে একজন করে দৈনিক ১৪০০ পর্যটক সেন্টমার্টিনে রাত্রি যাপন করুক। বাকি ১৬০০ পর্যটক গন্তব্যে ফিরে আসুক।