ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

সেতু নির্মাণের দাবিতে সাঁতরে তেতুঁলিয়া নদী পাড়ি দিলেন ২২ শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতিসহ ৫ দফা দাবিতে এবার সাঁতরে তেঁতুলিয়া নদী পড়ি দিয়েছেন ২২ শিক্ষার্থী। পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া ভোলা টু ঢাকা সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চের অংশ হিসেবে সাঁতরে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নদী পাড়ি দেন তারা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাশ থেকে তেতুলিয়া নদীতে সাঁতার শুরু করেন তারা। এরপর প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নদীতে সাঁতারে চর চটকিমারা খেয়াঘাট গিয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চটি। গত তিন দিন পায়ে হেঁটে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার লংমার্চটি পৌঁছায় ভোলা সদরে। এরপর সেখান থেকে ফের শুরু হয় ঢাকামুখী লংমার্চ। যা বরিশালের উপর দিয়ে ঢাকার সেতু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মূলত পাঁচ দফা দাবিতে এ লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিক্তিক শিল্প কল-কারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। এই লংমার্চে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা ভোলার বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত আছেন।

লংমার্চে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলরা আমাদের কথা দিয়েছিল; আগামী ডিসেম্বরে ভোলা- বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করাসহ আমাদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করবে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আমাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সেতু ভবনের অভিমুখে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া লংমার্চ চতুর্থ দিনে তেতুলিয়া নদী সাঁতরে বরিশালের শ্রীপুরে পৌঁছেছে। এসময় দীর্ঘক্ষণ নদীতে সাঁতার কাটায় আমাদের মধ্যে একজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি আবারও লংমার্চে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভোলা থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। নদী পার হওয়ার সময় নৌযানে না উঠে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা নদী সাঁতরে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের লংমার্চ চলবে।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সেতু নির্মাণের দাবিতে সাঁতরে তেতুঁলিয়া নদী পাড়ি দিলেন ২২ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতিসহ ৫ দফা দাবিতে এবার সাঁতরে তেঁতুলিয়া নদী পড়ি দিয়েছেন ২২ শিক্ষার্থী। পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া ভোলা টু ঢাকা সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চের অংশ হিসেবে সাঁতরে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নদী পাড়ি দেন তারা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাশ থেকে তেতুলিয়া নদীতে সাঁতার শুরু করেন তারা। এরপর প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার নদীতে সাঁতারে চর চটকিমারা খেয়াঘাট গিয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চটি। গত তিন দিন পায়ে হেঁটে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার লংমার্চটি পৌঁছায় ভোলা সদরে। এরপর সেখান থেকে ফের শুরু হয় ঢাকামুখী লংমার্চ। যা বরিশালের উপর দিয়ে ঢাকার সেতু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

মূলত পাঁচ দফা দাবিতে এ লংমার্চ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিক্তিক শিল্প কল-কারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। এই লংমার্চে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা ভোলার বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত আছেন।

লংমার্চে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। সরকারের উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীলরা আমাদের কথা দিয়েছিল; আগামী ডিসেম্বরে ভোলা- বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু করাসহ আমাদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কাজ করবে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। আমাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সেতু ভবনের অভিমুখে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে পায়ে হেঁটে শুরু হওয়া লংমার্চ চতুর্থ দিনে তেতুলিয়া নদী সাঁতরে বরিশালের শ্রীপুরে পৌঁছেছে। এসময় দীর্ঘক্ষণ নদীতে সাঁতার কাটায় আমাদের মধ্যে একজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে চিকিৎসা শেষে তিনি আবারও লংমার্চে যোগ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভোলা থেকে দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। নদী পার হওয়ার সময় নৌযানে না উঠে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা নদী সাঁতরে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমাদের লংমার্চ চলবে।

ওআ/আপ্র/১৪/১১/২০২৫