ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

সেই সুনাকই হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দৌড় থেকে সরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয়েছে ঋষি সুনাকের।
নিয়ম অনুযায়ী কনজারভেটিভ সদস্য ১০০ সহকর্মীর (এমপি) সমর্থন পেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন দলের নির্বাচিত সদস্যরা। আর একাদিক প্রার্থী হলে ব্যালটে যাবে ভোটাভুটি। চূড়ান্ত ২ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শেষ ভোটাভুটি হবে। দলের প্রধান নেতা নির্বাচনে ভোট দেবেন কনজারভেটি পার্টির ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য। আগামী শুক্রবারই দলটি তাদের নতুন নেতা বেছে নেবে। এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়, টোরি দলের ৩৫৭ সদস্যর মধ্য ১৮০ জন নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এদের মধ্য ১৫৫ জন সদস্য সুনাকের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মরডান্টের পক্ষে এখন পর্যন্ত আছেন ২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য। পেনি যদি সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টার মধ্যে ১০০ পার্লামেন্ট সদস্যর সমর্থন জোগাতে ব্যর্থ হন, তবে ঋষি সুনাকের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছেন না। আর যদি পেনি মরডান্ট ১০০ জনের সমর্থন পেয়ে যান, তবে চূড়ান্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে শেষ ভোটাভুটি হবে। এ ভোট হবে আজ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে ভোট। দলের প্রধান নেতা নির্বাচনে ভোট দেবেন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য। শুক্রবারই দলটি তাদের নতুন নেতা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করবে।
এর আগের বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই লিজ ট্রাসের সঙ্গে ইংল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার লড়াইয়ে নামেন সুনাক। গত সেপ্টেম্বরে লিজ ট্রসের কাছে দলের নেতা হওয়ার লড়াইয়ে হেরে যান। এরপরই ৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পরেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন লিজ ট্রস। এরপর আবারও যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামেন সুনাক। এখন পর্যন্ত একজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় অনেকটাই নিশ্চিত সুনাক।
কে এই ঋষি সুনাক? ইতিহাসে প্রথমবার একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগের দফায় লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ মূহূর্তে ছিটকে পড়েন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রেণেতা ঋষি সুনাক। রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং পার্লামেন্টের এমপিদের সমর্থন থাকায় তার পথ এখন অনেকটাই পরিষ্কার বলছে দেশটির সাংবাদমাধ্যমগুলো। তাকে ঘিরে ভারতেও আগ্রহের কমতি নেই। লিজ ট্রাসের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে ঋষি সুনাক যতই এগোচ্ছেন, ততই তাকে নিয়ে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা বাড়ছে। মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারও লক্ষ্য রাখছে, সুনাক শেষ পর্যন্ত সত্যিই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যেতে পারছেন কিনা।
গত রোববার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষিকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করেছেন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি, বাজারের গ্রহণযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে আমাদের এমন একজন নেতার প্রয়োজন যাকে বিশ্বাস করা যায়। অবশ্য আমাদের একজন নেতা ঋষি সুনাক তা হয়তো পারবেন।’
শিক্ষা ও কর্মজীবন : সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা-দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে, ভালো কাজের সুযোগে ও পড়াশুনোর জন্য তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর সুনাক ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার হিসেবে ও ঊষা সুনাক ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। মেধাবী ছাত্র সুনাক আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে এমবিএ-ও করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনাক ব্রিটেনের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার (অর্থমন্ত্রী) হন। সুনাকের আর একটা পরিচয় হল, তিনি ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাতা। নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতার সঙ্গে তার আলাপ স্ট্যানফোর্ডেই, পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন।
সুনাক অর্থমন্ত্রী থাকাকালীনই জানাজানি হয়, তার স্ত্রী অক্ষতা ট্যাক্সের কারণে ‘নন ডমিসাইলড’-অর্থাৎ বিদেশে তার উপার্জিত অর্থের জন্য তিনি ব্রিটেনে কোনও আয়কর দেন না। যদিও এর মধ্যে বেআইনি কিছু নেই, তবু ঋষি সুনাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিরাট অস্বস্তি বয়ে এনেছিল।
রাজনৈতিক জীবন : রাজনৈতিক জীবনে ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন ঋষি সুনাক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০১৯ সালে বরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার গুরুত্ব আরও বাড়ে। এরপর সরাসরি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ তিনি। এদিকে তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সুনাকের।
জনসনের সরে যাওয়ার ঘোষণায় ঋষি সুনাককে এগিয়ে রেখে শিরোনাম করেছে ব্রিটেনের অধিকাংশ জাতীয় সাংবাদমাধ্যম। দ্য ডেইলি এক্সপ্রেসে জানিয়েছে, বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট ১০- এর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোয় প্রধামন্ত্রীর মুকুট পাচ্ছেন ঋষি। আর দ্য সানে এসেছে, জনবিশৃঙ্খলা এড়াতে জনসন না দাঁড়ানোয় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিষিকে নিয়ে আশার খবর শুনিয়েছে দ্য ডেইলি মিররও। যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্টে মোট ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। তাদের ১৪২ জন ইতিমধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। রবিবার রাত পর্যন্ত ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী পেনিকে সমর্থনের কথা বলেছেন। ফলে পেনিকে এখনও ৭৬ জন এমপি’র সমর্থন আদায় করতে হবে। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে শিগগিরই জানা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বার্ন ইউনিটে ৩৩ জন ভর্তি, ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন

সেই সুনাকই হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দৌড় থেকে সরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয়েছে ঋষি সুনাকের।
নিয়ম অনুযায়ী কনজারভেটিভ সদস্য ১০০ সহকর্মীর (এমপি) সমর্থন পেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন দলের নির্বাচিত সদস্যরা। আর একাদিক প্রার্থী হলে ব্যালটে যাবে ভোটাভুটি। চূড়ান্ত ২ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শেষ ভোটাভুটি হবে। দলের প্রধান নেতা নির্বাচনে ভোট দেবেন কনজারভেটি পার্টির ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য। আগামী শুক্রবারই দলটি তাদের নতুন নেতা বেছে নেবে। এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়, টোরি দলের ৩৫৭ সদস্যর মধ্য ১৮০ জন নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। এদের মধ্য ১৫৫ জন সদস্য সুনাকের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মরডান্টের পক্ষে এখন পর্যন্ত আছেন ২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্য। পেনি যদি সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ২টার মধ্যে ১০০ পার্লামেন্ট সদস্যর সমর্থন জোগাতে ব্যর্থ হন, তবে ঋষি সুনাকের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছেন না। আর যদি পেনি মরডান্ট ১০০ জনের সমর্থন পেয়ে যান, তবে চূড়ান্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে শেষ ভোটাভুটি হবে। এ ভোট হবে আজ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে ভোট। দলের প্রধান নেতা নির্বাচনে ভোট দেবেন কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য। শুক্রবারই দলটি তাদের নতুন নেতা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করবে।
এর আগের বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই লিজ ট্রাসের সঙ্গে ইংল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার লড়াইয়ে নামেন সুনাক। গত সেপ্টেম্বরে লিজ ট্রসের কাছে দলের নেতা হওয়ার লড়াইয়ে হেরে যান। এরপরই ৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকার পরেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন লিজ ট্রস। এরপর আবারও যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামেন সুনাক। এখন পর্যন্ত একজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় অনেকটাই নিশ্চিত সুনাক।
কে এই ঋষি সুনাক? ইতিহাসে প্রথমবার একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগের দফায় লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ মূহূর্তে ছিটকে পড়েন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রেণেতা ঋষি সুনাক। রবিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এবং পার্লামেন্টের এমপিদের সমর্থন থাকায় তার পথ এখন অনেকটাই পরিষ্কার বলছে দেশটির সাংবাদমাধ্যমগুলো। তাকে ঘিরে ভারতেও আগ্রহের কমতি নেই। লিজ ট্রাসের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে ঋষি সুনাক যতই এগোচ্ছেন, ততই তাকে নিয়ে ভারতের সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা বাড়ছে। মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারও লক্ষ্য রাখছে, সুনাক শেষ পর্যন্ত সত্যিই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যেতে পারছেন কিনা।
গত রোববার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষিকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করেছেন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি, বাজারের গ্রহণযোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে আমাদের এমন একজন নেতার প্রয়োজন যাকে বিশ্বাস করা যায়। অবশ্য আমাদের একজন নেতা ঋষি সুনাক তা হয়তো পারবেন।’
শিক্ষা ও কর্মজীবন : সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা-দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে, ভালো কাজের সুযোগে ও পড়াশুনোর জন্য তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর সুনাক ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার হিসেবে ও ঊষা সুনাক ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। মেধাবী ছাত্র সুনাক আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে এমবিএ-ও করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনাক ব্রিটেনের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার (অর্থমন্ত্রী) হন। সুনাকের আর একটা পরিচয় হল, তিনি ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাতা। নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতার সঙ্গে তার আলাপ স্ট্যানফোর্ডেই, পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন।
সুনাক অর্থমন্ত্রী থাকাকালীনই জানাজানি হয়, তার স্ত্রী অক্ষতা ট্যাক্সের কারণে ‘নন ডমিসাইলড’-অর্থাৎ বিদেশে তার উপার্জিত অর্থের জন্য তিনি ব্রিটেনে কোনও আয়কর দেন না। যদিও এর মধ্যে বেআইনি কিছু নেই, তবু ঋষি সুনাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিরাট অস্বস্তি বয়ে এনেছিল।
রাজনৈতিক জীবন : রাজনৈতিক জীবনে ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন ঋষি সুনাক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০১৯ সালে বরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার গুরুত্ব আরও বাড়ে। এরপর সরাসরি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ তিনি। এদিকে তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সুনাকের।
জনসনের সরে যাওয়ার ঘোষণায় ঋষি সুনাককে এগিয়ে রেখে শিরোনাম করেছে ব্রিটেনের অধিকাংশ জাতীয় সাংবাদমাধ্যম। দ্য ডেইলি এক্সপ্রেসে জানিয়েছে, বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট ১০- এর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোয় প্রধামন্ত্রীর মুকুট পাচ্ছেন ঋষি। আর দ্য সানে এসেছে, জনবিশৃঙ্খলা এড়াতে জনসন না দাঁড়ানোয় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিষিকে নিয়ে আশার খবর শুনিয়েছে দ্য ডেইলি মিররও। যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্টে মোট ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। তাদের ১৪২ জন ইতিমধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। রবিবার রাত পর্যন্ত ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী পেনিকে সমর্থনের কথা বলেছেন। ফলে পেনিকে এখনও ৭৬ জন এমপি’র সমর্থন আদায় করতে হবে। পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে শিগগিরই জানা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন।