ঢাকা ০১:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সেই বিরল হলুদ কচ্ছপটি নিতে চান ঢাবি শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফরিদপুরে হলুদ রঙের বিরল একটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এদিকে গবেষণা করতে কচ্ছপটি নিতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এর আগে, গত রোববার (২২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের বিশ্বাস ডাংগী এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গেলে কচ্ছপটি পান রিয়াদ নামের এক যুবক। খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক বন বিভাগ কচ্ছপটি উদ্ধার করে। বর্তমানে তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফরিদপুর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী জানান, কচ্ছপটি একেবারেই নতুন প্রজাতির। এটি হলুদ রঙের। ওজন আনুমানিক দেড় কেজি ও ব্যাসার্ধ আট ইঞ্চির মতো। কচ্ছপটির বিষয়ে খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, খবর পেয়ে ফরিদপুর বন বিভাগের অফিসে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শমী। তিনি জানান, এটি সুন্ধি জাতের কচ্ছপ হলেও এই প্রজাতির হলুদ বর্ণের কচ্ছপ সাধারণত দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘সুন্ধি জাতীয় কচ্ছপ মেটে ও ধূসর রঙের হয়। এটির ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তন কিংবা অন্য কারণে হলুদ রঙ হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে কচ্ছপটি নিতে এসেছি। এটার ওপর গবেষণা চালানো হবে। তবে আমাদের কচ্ছপটি দেওয়া হবে কি-না এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

সেই বিরল হলুদ কচ্ছপটি নিতে চান ঢাবি শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ১১:০৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ফরিদপুরে হলুদ রঙের বিরল একটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এদিকে গবেষণা করতে কচ্ছপটি নিতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এর আগে, গত রোববার (২২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের বিশ্বাস ডাংগী এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গেলে কচ্ছপটি পান রিয়াদ নামের এক যুবক। খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক বন বিভাগ কচ্ছপটি উদ্ধার করে। বর্তমানে তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ফরিদপুর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী জানান, কচ্ছপটি একেবারেই নতুন প্রজাতির। এটি হলুদ রঙের। ওজন আনুমানিক দেড় কেজি ও ব্যাসার্ধ আট ইঞ্চির মতো। কচ্ছপটির বিষয়ে খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, খবর পেয়ে ফরিদপুর বন বিভাগের অফিসে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শমী। তিনি জানান, এটি সুন্ধি জাতের কচ্ছপ হলেও এই প্রজাতির হলুদ বর্ণের কচ্ছপ সাধারণত দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘সুন্ধি জাতীয় কচ্ছপ মেটে ও ধূসর রঙের হয়। এটির ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তন কিংবা অন্য কারণে হলুদ রঙ হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে কচ্ছপটি নিতে এসেছি। এটার ওপর গবেষণা চালানো হবে। তবে আমাদের কচ্ছপটি দেওয়া হবে কি-না এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।’