বাগেরহাট সংবাদদাতা: চিতলমারীতে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় নারীর আংটি ও বদনা নিয়ে যান এনজিও কর্মী। এ নিয়ে যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার বদনা ও আংটি ফেরত দিয়েছে এনজিওর কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ওই এনজিওর চিতলমারী শাখা ম্যানেজার বাসুদেব দেব নাথ ও মাঠ কর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এনজিওটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ডাম এনজিওর কর্মকর্তারা আমার বাড়িতে আসেন। স্যারেরা আমার শিশু কন্যাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন। সব কিছু শুনে তারা বিকালে আমার শখের আংটি, নাকফুল ও দুটি বদনা ফেরত দিয়েছেন। আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে এনজিওটির নরসিংদী জোনাল ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো জোর প্রয়োগ ছাড়াই গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা অভাবের তাড়নায় স্বেচ্ছায় ঋণের টাকার পরিবর্তে বদনা, নাকফুল ও হাতের আংটি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে ৯ হাজার ৫শ টাকা জমা করে ওই মালামাল ফেরত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এনজিওটির চিতলমারী শাখা খেকে ওই গৃহবধূ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঋণের কয়েকটি কিস্তি খেলাপি হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ওই ফাউন্ডেশনের কর্মীরা শ্রাবণীর বাড়িতে এসে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ঋণের কিস্তির পরিবর্তে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের ২টি বদনা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওআ/আপ্র/১২/১২/২০২৫






















