ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সূর্য থেকে বিশাল সৌর শিখা নির্গত

  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা সূর্যের একটি পাশ থেকে বিশাল এক সৌর শিখা নির্গত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, ওই অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় একটি সৌর এলাকা সৃষ্টির ফলাফল হতে পারে এটি। নাসার ওয়েবসাইটে একটি সৌর শিখা নির্গমনের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সূর্য পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার পাঠানো সোলার ডাইনামিকস অবজারভেটরি গত রোববার ওই ভিডিও ধারণ করে। ওই অবজারভেটরি বিস্ফোরণস্থল থেকে উত্তপ্ত ধ্বংসাবশেষও পর্যবেক্ষণ করেছে। খবর এনডিটিভির।
সৌর শিখা হলো সূর্যের বায়ুম-লে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের একটি তীব্র বিস্ফোরণ। সূর্যের সক্রিয় অঞ্চলে প্রায়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ হয়। এটি আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিজ্ঞানীরা এ ধরনের অনেকগুলো বিস্ফোরণে সৃষ্ট সৌর শিখা শনাক্ত করেছেন এবং পৃথিবীতে এর প্রভাব বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ধরনের সৌর শিখায় চরম অতিবেগুনি বিকিরণ এবং এক্স-রে রশ্মি থাকে, যা পৃথিবীর আয়নম-লে সংস্পর্শে এসে পৃথিবীর রেডিও যোগাযোগব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আয়নম-ল হলো পৃথিবীর বায়ুম-লের একটি অঞ্চল, যেখানে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা রয়েছে এবং রেডিও তরঙ্গ বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করার জন্য তা ব্যবহার করে থাকে। সৌর শিখা এই যোগাযোগে প্রভাব ফেলতে পারে।
নিউজউইক সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সৌর শিখাটিকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্পেসওয়েদার ডটকম বলছে, সূর্যের প্রান্তে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সৌর শিখাটির শক্তি কমে গেছে। সৌর শিখাটির সরাসরি আওতায় পড়েনি পৃথিবী। তারপরও অবশ্য এই সৌর বিস্ফোরণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর ফলে সূর্যের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি সক্রিয় অঞ্চল সৃষ্টি করতে পারে। সৌর শিখাগুলোকে মূলত ইংরেজি বি সি এম ও এক্স-এর চারটি অক্ষর দিয়ে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। শক্তি বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে এর ১ থেকে ৯ পর্যন্ত উপবিভাগ করা হয়। সাধারণত, এম ক্লাস এবং তার ওপরের সৌর শিখাগুলো পৃথিবীতে লক্ষণীয় প্রভাব ফেলে। সূর্যের পৃষ্ঠের এলাকা থেকে সৌর শিখা বা স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়, যা সানস্পট নামে পরিচিত। এখানে চৌম্বকক্ষেত্রের রেখাগুলো এত শক্তিশালী যে তাপ মহাকাশে যেতে পারে না। ফলে সেখানে শীতল ও অন্ধকার অঞ্চল সৃষ্টি হয়। এই শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের লাইনগুলো হঠাৎ পরিবর্তিত হয়ে গেলে সৌর শিখা ও অন্যান্য সৌর পদার্থের বিস্ফোরণ যেমন করোনাল ভর ইজেকশন (সিএমই) সৃষ্টি হয়। তখন সানস্পটগুলো সক্রিয় সৌর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সূর্য থেকে বিশাল সৌর শিখা নির্গত

আপডেট সময় : ১১:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা সূর্যের একটি পাশ থেকে বিশাল এক সৌর শিখা নির্গত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, ওই অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয় একটি সৌর এলাকা সৃষ্টির ফলাফল হতে পারে এটি। নাসার ওয়েবসাইটে একটি সৌর শিখা নির্গমনের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সূর্য পর্যবেক্ষণ করার জন্য নাসার পাঠানো সোলার ডাইনামিকস অবজারভেটরি গত রোববার ওই ভিডিও ধারণ করে। ওই অবজারভেটরি বিস্ফোরণস্থল থেকে উত্তপ্ত ধ্বংসাবশেষও পর্যবেক্ষণ করেছে। খবর এনডিটিভির।
সৌর শিখা হলো সূর্যের বায়ুম-লে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের একটি তীব্র বিস্ফোরণ। সূর্যের সক্রিয় অঞ্চলে প্রায়ই এই তীব্র বিস্ফোরণ হয়। এটি আলোর গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিজ্ঞানীরা এ ধরনের অনেকগুলো বিস্ফোরণে সৃষ্ট সৌর শিখা শনাক্ত করেছেন এবং পৃথিবীতে এর প্রভাব বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ধরনের সৌর শিখায় চরম অতিবেগুনি বিকিরণ এবং এক্স-রে রশ্মি থাকে, যা পৃথিবীর আয়নম-লে সংস্পর্শে এসে পৃথিবীর রেডিও যোগাযোগব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।
আয়নম-ল হলো পৃথিবীর বায়ুম-লের একটি অঞ্চল, যেখানে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা রয়েছে এবং রেডিও তরঙ্গ বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করার জন্য তা ব্যবহার করে থাকে। সৌর শিখা এই যোগাযোগে প্রভাব ফেলতে পারে।
নিউজউইক সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সৌর শিখাটিকে দুর্বল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। স্পেসওয়েদার ডটকম বলছে, সূর্যের প্রান্তে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় সৌর শিখাটির শক্তি কমে গেছে। সৌর শিখাটির সরাসরি আওতায় পড়েনি পৃথিবী। তারপরও অবশ্য এই সৌর বিস্ফোরণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, এর ফলে সূর্যের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি সক্রিয় অঞ্চল সৃষ্টি করতে পারে। সৌর শিখাগুলোকে মূলত ইংরেজি বি সি এম ও এক্স-এর চারটি অক্ষর দিয়ে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। শক্তি বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে এর ১ থেকে ৯ পর্যন্ত উপবিভাগ করা হয়। সাধারণত, এম ক্লাস এবং তার ওপরের সৌর শিখাগুলো পৃথিবীতে লক্ষণীয় প্রভাব ফেলে। সূর্যের পৃষ্ঠের এলাকা থেকে সৌর শিখা বা স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়, যা সানস্পট নামে পরিচিত। এখানে চৌম্বকক্ষেত্রের রেখাগুলো এত শক্তিশালী যে তাপ মহাকাশে যেতে পারে না। ফলে সেখানে শীতল ও অন্ধকার অঞ্চল সৃষ্টি হয়। এই শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের লাইনগুলো হঠাৎ পরিবর্তিত হয়ে গেলে সৌর শিখা ও অন্যান্য সৌর পদার্থের বিস্ফোরণ যেমন করোনাল ভর ইজেকশন (সিএমই) সৃষ্টি হয়। তখন সানস্পটগুলো সক্রিয় সৌর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।