ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

সূর্য তৈরি হতে এক থেকে দুই কোটি বছর লেগেছিল

  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌরজগতের ঊষালগ্ন থেকে আসা মহাজাগতিক ধূলিকণা বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি সূর্যের গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্য তৈরি হতে প্রায় এক থেকে দুই কোটি বছর সময় নিয়েছে বলে দাবি তাদের। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৬০ কোটি বছর আগে সূর্য গঠনের জন্য মহাজাগতিক গ্যাস ও ধূলিকণার আণবিক মেঘ একসঙ্গে হতে কত সময় লেগেছে। এই প্রথম সূর্য গঠন প্রক্রিয়ায় কত সময় লেগেছে তার সুনির্দিষ্ট অনুমান দিলেন বিজ্ঞানীরা। এই অনুমানের জন্য অত্যাধুনিক ‘স্টেলার ইভোলিউশন কম্পিউটার’ বা তারার বিবর্তন কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির এক ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে এ অনুমান দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট কসমস। “কোন ধরনের উপাদান তারা থেকে তৈরি হয়েছে ও কীভাবে এসব উপাদান আমাদের ছায়াপথে ছড়িয়ে পড়েছে তা এসব মডেল থেকে আমরা অনুমান করতে পারি,” বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ‘মোনাশ ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ-লেখক আমান্ডা কারাকাস।
“সূর্য কোন ধরনের গ্যাস ও ধূলিকণা থেকে গঠিত হয়েছে তা বোঝার জন্য গবেষণার এসব ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে থাকা এক প্রশ্নের উত্তর মিলেছে এতে। এটি এক রোমাঞ্চকর গবেষণা।” এ গবেষণায় মহাজাগতিক কণায় থাকা সীসাতে উচ্চ চার্জওয়ালা থ্যালিয়াম-এর বিরল ক্ষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন জার্মানির ‘জিএসআই হেলমহোল্টজ সেন্টার’-এর গবেষকরা, যেখানে বিভিন্ন ভর ও বয়সের তারায় কতটা তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থাকতে পারে তার একটি সম্পূর্ণ ছবি জ্যোতির্পদার্থবিদদের তৈরিতে সাহায্য করেছে এটি। সাধারণত থ্যালিয়ামের আইসোটোপ ‘টিএল-২০৫’-এর সিসার আইসোটেপ ‘পিবি-২০’-এ ক্ষয় হতে কয়েকশ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের চরম তাপমাত্রার প্রয়োজন। “বুড়ো লাল দানব আকৃতির বিভিন্ন তারা মহাবিশ্বের একমাত্র জায়গা, যা তৈরি করে এই বিশেষ ধরনের সীসার আইসোটোপ। এটি সীসার একটি তেজস্ক্রিয় রূপ, যা গ্যাস ও মহাজাগতিক ধূলিকণার বিশাল মেঘে মিশে যায় ও ক্ষয় হতে শুরু করে,” বলেছেন কারাকাস। “আমাদের সূর্য এমন এক ধরনের মেঘ থেকে গঠিত হয়েছে, যেখানে প্রথম কয়েকটি শক্ত টুকরা এই সীসার কিছু অংশকে আটকে রাখে, যা সূর্য গঠনের সময় সম্পর্কে আমাদের সূত্র দিতে টাইমস্ট্যাম্পের মতো কাজ করেছে।” সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ কীভাবে গঠিত হয়েছে ও অন্যান্য সৌরজগত কীভাবে বিকশিত হয়েছে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতেও সহায়তা করবে এই গবেষণা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সূর্য তৈরি হতে এক থেকে দুই কোটি বছর লেগেছিল

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌরজগতের ঊষালগ্ন থেকে আসা মহাজাগতিক ধূলিকণা বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি সূর্যের গঠন সম্পর্কে নতুন ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্য তৈরি হতে প্রায় এক থেকে দুই কোটি বছর সময় নিয়েছে বলে দাবি তাদের। গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ৪৬০ কোটি বছর আগে সূর্য গঠনের জন্য মহাজাগতিক গ্যাস ও ধূলিকণার আণবিক মেঘ একসঙ্গে হতে কত সময় লেগেছে। এই প্রথম সূর্য গঠন প্রক্রিয়ায় কত সময় লেগেছে তার সুনির্দিষ্ট অনুমান দিলেন বিজ্ঞানীরা। এই অনুমানের জন্য অত্যাধুনিক ‘স্টেলার ইভোলিউশন কম্পিউটার’ বা তারার বিবর্তন কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। জার্মানির এক ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে এ অনুমান দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট কসমস। “কোন ধরনের উপাদান তারা থেকে তৈরি হয়েছে ও কীভাবে এসব উপাদান আমাদের ছায়াপথে ছড়িয়ে পড়েছে তা এসব মডেল থেকে আমরা অনুমান করতে পারি,” বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ‘মোনাশ ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ-লেখক আমান্ডা কারাকাস।
“সূর্য কোন ধরনের গ্যাস ও ধূলিকণা থেকে গঠিত হয়েছে তা বোঝার জন্য গবেষণার এসব ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে থাকা এক প্রশ্নের উত্তর মিলেছে এতে। এটি এক রোমাঞ্চকর গবেষণা।” এ গবেষণায় মহাজাগতিক কণায় থাকা সীসাতে উচ্চ চার্জওয়ালা থ্যালিয়াম-এর বিরল ক্ষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন জার্মানির ‘জিএসআই হেলমহোল্টজ সেন্টার’-এর গবেষকরা, যেখানে বিভিন্ন ভর ও বয়সের তারায় কতটা তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ থাকতে পারে তার একটি সম্পূর্ণ ছবি জ্যোতির্পদার্থবিদদের তৈরিতে সাহায্য করেছে এটি। সাধারণত থ্যালিয়ামের আইসোটোপ ‘টিএল-২০৫’-এর সিসার আইসোটেপ ‘পিবি-২০’-এ ক্ষয় হতে কয়েকশ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের চরম তাপমাত্রার প্রয়োজন। “বুড়ো লাল দানব আকৃতির বিভিন্ন তারা মহাবিশ্বের একমাত্র জায়গা, যা তৈরি করে এই বিশেষ ধরনের সীসার আইসোটোপ। এটি সীসার একটি তেজস্ক্রিয় রূপ, যা গ্যাস ও মহাজাগতিক ধূলিকণার বিশাল মেঘে মিশে যায় ও ক্ষয় হতে শুরু করে,” বলেছেন কারাকাস। “আমাদের সূর্য এমন এক ধরনের মেঘ থেকে গঠিত হয়েছে, যেখানে প্রথম কয়েকটি শক্ত টুকরা এই সীসার কিছু অংশকে আটকে রাখে, যা সূর্য গঠনের সময় সম্পর্কে আমাদের সূত্র দিতে টাইমস্ট্যাম্পের মতো কাজ করেছে।” সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ কীভাবে গঠিত হয়েছে ও অন্যান্য সৌরজগত কীভাবে বিকশিত হয়েছে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতেও সহায়তা করবে এই গবেষণা।