ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সূর্যমুখীর বীজ খেলে যা হয়

  • আপডেট সময় : ১২:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : সূর্যমুখীর বীজ নিয়মিত খেলে দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি নানান স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমায়। যেকোনো ধরনের বীজ খাওয়ার উপকারীতা রয়েছে। তবে কোন বীজ কী ধরনের উপকারীতা দেয় তা জানা থাকা ভালো।
প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে : নিউ ইয়র্ক’য়ের পুরষ্কার প্রাপ্ত পুষ্টিবিদ টবি এমিডোরের মতে, সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেইটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি। প্রতি আউন্স সূর্যমুখীর বীজে প্রায় ৩ গ্রাম পরিমাণ মনোআনস্যাচুরেইটেড ও ৯ গ্রাম পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি পাওয়া যায়। এসব চর্বি উচ্চ মাত্রায় থাকায় তা প্রদাহ কমায়। ‘ডায়াবেটিস ক্রিয়েট ইয়োর প্লেট মিল প্রিপারেশন কুকবুক’য়ের এই লেখক ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “পলিআনস্যাচুরেইটেড চর্বি প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।” দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটায়: এমিডর বলেন, “বাজারে কিনতে পাওয়া যায় লবণযুক্ত সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে।” যদিও ২০২০ থেকে ২০২৫ ‘ডায়েটারি গাইডলাইন ফর আমেরিকান্স’য়ে বাদাম ও বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সোডিয়াম মুক্ত বাছাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নিদেশিকা অনুযায়ী দৈনিক সর্বাধিক লবণের চাহিদা হল ২৩০০। তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য সূর্যমুখীর বীজ বাছাই করা হলে বাড়তি লবণযুক্ত অন্যান্য খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে : ‘সার্কুলেশন’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এমিডর জানান, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি সূর্যমুখীর বীজ খেয়েছিলেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ঝুঁকি সৃষ্টিকারী উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। একইভাবে, সূর্যমুখীর বীজ রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপ খুব বেশি হলে তা ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা হার্ট অ্যাটাক বা হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এক আউন্স সূর্যমুখীর বীজে ৭.৪ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন ই থাকে যা দৈনিক চাহিদাপূরণ করে। আর ভিটামিন ই গ্রহণ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। ‘আমেরিকান জার্নাল অব থেরাপিউটিস’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ ও মধ্য বয়সে নারী-পুরুষদের হওয়া নানান রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিকদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ : ‘কিউরিয়াস জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স’য়ে প্রকাশিত ‘মেডিসিন সার্ভিসেস হসপিটাল লাহোর’ ও ‘ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন, ইউনিভার্সিটি অফ লাহোর’য়ের করা গবেষণার ফল অনুযায়ী, সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ ‘গ্লাইসেমিক’ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মানে এই বীজে রয়েছে ডায়াবেটিস-রোধী উপাদান। পুষ্টিবিদ এমিডর ‘জার্নাল অফ কেমিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকেল রিসার্চ’য়ে প্রকাশিত নিউ জিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানায়, সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া ডায়াবেটিকদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ না খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় যারা নিয়মিত খান তাদের দ্রুত রক্তের শর্করা হ্রাস পায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সূর্যমুখীর বীজ খেলে যা হয়

আপডেট সময় : ১২:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : সূর্যমুখীর বীজ নিয়মিত খেলে দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি নানান স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমায়। যেকোনো ধরনের বীজ খাওয়ার উপকারীতা রয়েছে। তবে কোন বীজ কী ধরনের উপকারীতা দেয় তা জানা থাকা ভালো।
প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে : নিউ ইয়র্ক’য়ের পুরষ্কার প্রাপ্ত পুষ্টিবিদ টবি এমিডোরের মতে, সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেইটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি। প্রতি আউন্স সূর্যমুখীর বীজে প্রায় ৩ গ্রাম পরিমাণ মনোআনস্যাচুরেইটেড ও ৯ গ্রাম পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি পাওয়া যায়। এসব চর্বি উচ্চ মাত্রায় থাকায় তা প্রদাহ কমায়। ‘ডায়াবেটিস ক্রিয়েট ইয়োর প্লেট মিল প্রিপারেশন কুকবুক’য়ের এই লেখক ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “পলিআনস্যাচুরেইটেড চর্বি প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।” দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটায়: এমিডর বলেন, “বাজারে কিনতে পাওয়া যায় লবণযুক্ত সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া দৈনিক সোডিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে।” যদিও ২০২০ থেকে ২০২৫ ‘ডায়েটারি গাইডলাইন ফর আমেরিকান্স’য়ে বাদাম ও বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সোডিয়াম মুক্ত বাছাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নিদেশিকা অনুযায়ী দৈনিক সর্বাধিক লবণের চাহিদা হল ২৩০০। তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য সূর্যমুখীর বীজ বাছাই করা হলে বাড়তি লবণযুক্ত অন্যান্য খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে : ‘সার্কুলেশন’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এমিডর জানান, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি সূর্যমুখীর বীজ খেয়েছিলেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ঝুঁকি সৃষ্টিকারী উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। একইভাবে, সূর্যমুখীর বীজ রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপ খুব বেশি হলে তা ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা হার্ট অ্যাটাক বা হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এক আউন্স সূর্যমুখীর বীজে ৭.৪ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন ই থাকে যা দৈনিক চাহিদাপূরণ করে। আর ভিটামিন ই গ্রহণ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। ‘আমেরিকান জার্নাল অব থেরাপিউটিস’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ ও মধ্য বয়সে নারী-পুরুষদের হওয়া নানান রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিকদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ : ‘কিউরিয়াস জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স’য়ে প্রকাশিত ‘মেডিসিন সার্ভিসেস হসপিটাল লাহোর’ ও ‘ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন, ইউনিভার্সিটি অফ লাহোর’য়ের করা গবেষণার ফল অনুযায়ী, সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ ‘গ্লাইসেমিক’ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মানে এই বীজে রয়েছে ডায়াবেটিস-রোধী উপাদান। পুষ্টিবিদ এমিডর ‘জার্নাল অফ কেমিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকেল রিসার্চ’য়ে প্রকাশিত নিউ জিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানায়, সূর্যমুখীর বীজ খাওয়া ডায়াবেটিকদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ না খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় যারা নিয়মিত খান তাদের দ্রুত রক্তের শর্করা হ্রাস পায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।