ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এরপরও বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু সূচকের সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি। সকাল সাড়ে ১১টার পর আবার দরপতনের তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ১৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২১ কোটি ৫৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এমজেএল বাংলাদেশ, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, অগ্নি সিস্টেম, ইবনে সিনা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয় ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চাল আমদানির গতি মন্থর,এসেছে মাত্র সাড়ে ৯ হাজার টন

সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

আপডেট সময় : ০৮:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার থেকে বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। এরপরও বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু সূচকের সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি। সকাল সাড়ে ১১টার পর আবার দরপতনের তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের শেষদিকে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ১৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২১ কোটি ৫৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এমজেএল বাংলাদেশ, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, অগ্নি সিস্টেম, ইবনে সিনা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয় ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।