ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

সূচকের বড় উত্থানে শেষ হলো লেনদেন

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হলেও শেষ পর্যন্ত বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার না হতেই রীতিমতো ধস নামে শেয়ারবাজারে। দেখতে দেখতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। এতে শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতনের শঙ্কায় পড়েন বিনিয়োগকারীরা। তবে শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে পরিস্থিতি বদলে যায়। পতন থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। ফলে পতনের পরিবর্তনে সূচকের বড় উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৮৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৩৮ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২০৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন বাড়ার দিনে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপারের ২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হাসপাতাল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ডরিন পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্রামীণফোন। অন্যদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সূচকের বড় উত্থানে শেষ হলো লেনদেন

আপডেট সময় : ১২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় পতন হলেও শেষ পর্যন্ত বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার না হতেই রীতিমতো ধস নামে শেয়ারবাজারে। দেখতে দেখতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। এতে শেয়ারবাজারে আবারও বড় পতনের শঙ্কায় পড়েন বিনিয়োগকারীরা। তবে শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে পরিস্থিতি বদলে যায়। পতন থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। ফলে পতনের পরিবর্তনে সূচকের বড় উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৮৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৯০ কোটি ৩৮ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২০৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেন বাড়ার দিনে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপারের ২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই হাসপাতাল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ডরিন পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও গ্রামীণফোন। অন্যদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।