ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

সু চি অসুস্থ, হাজির হননি আদালতে

  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থতাজনিত কারণে গতকাল সোমবার আদালতের শুনানিতে হাজির হতে পারেননি। তার আইনজীবীদের একজন জানিয়েছেন, গতিজনিত অসুস্থতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে সু চির (৭৬) বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ না করায় গাড়িতে চড়ে অসুস্থবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মিন মিন সো।
একনায়কত্ব বিরোধী অহিংস আন্দোলনের জন্য গত তিন দশকের প্রায় অর্ধেকটা সময় বিভিন্ন ধরনের অন্তরীণ অবস্থায় কাটানো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী জনপ্রিয় এই নেত্রীর শারীরিক অবস্থার দিকে গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সকে মিন মিন সো বলেন, “অসুস্থতাটি গুরুতর কিছু নয়। তিনি গাড়ি ভ্রমণে অসুস্থবোধ করছেন। তিনি ওই অনুভূতি সহ্য করতে পারছেন না এবং বিশ্রাম নিতে চান বলে আমাদের জানিয়েছেন।” বাইরের জগতের সঙ্গে সু চির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তার আইনি দল। এই দলটি জানিয়েছে, তাদের পক্ষেও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ সীমিত এবং কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখার মামলায় রাজধানী নেপিডোর আদালতে সু চির বিচার চলছে।
তার বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং পৃথক ও আরও গুরুতর একটি মামলায় সরকারি গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে। সু চির আইনজীবীর এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তার আইনি দলের নেতা খিন মাউং জাও জানিয়েছেন, সু চি সোমবার আদালতে হাজির হতে পারেননি আর বিচারকরা তার অনুপস্থিতি অনুমোদন করেছেন। এক লিখিত বার্তায় তিনি বলেছেন, “তাকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল, তিনি হাঁচি দিচ্ছিলেন এবং ঘুম পাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তাই আইনজীবীর তার সঙ্গে সংক্ষেপে কথাবার্তা সারেন।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সু চি অসুস্থ, হাজির হননি আদালতে

আপডেট সময় : ১১:৩০:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থতাজনিত কারণে গতকাল সোমবার আদালতের শুনানিতে হাজির হতে পারেননি। তার আইনজীবীদের একজন জানিয়েছেন, গতিজনিত অসুস্থতার কারণে মাথা ঘোরার সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে সু চির (৭৬) বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ না করায় গাড়িতে চড়ে অসুস্থবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মিন মিন সো।
একনায়কত্ব বিরোধী অহিংস আন্দোলনের জন্য গত তিন দশকের প্রায় অর্ধেকটা সময় বিভিন্ন ধরনের অন্তরীণ অবস্থায় কাটানো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী জনপ্রিয় এই নেত্রীর শারীরিক অবস্থার দিকে গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সকে মিন মিন সো বলেন, “অসুস্থতাটি গুরুতর কিছু নয়। তিনি গাড়ি ভ্রমণে অসুস্থবোধ করছেন। তিনি ওই অনুভূতি সহ্য করতে পারছেন না এবং বিশ্রাম নিতে চান বলে আমাদের জানিয়েছেন।” বাইরের জগতের সঙ্গে সু চির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তার আইনি দল। এই দলটি জানিয়েছে, তাদের পক্ষেও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ সীমিত এবং কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়। করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও নিজের কাছে রাখার মামলায় রাজধানী নেপিডোর আদালতে সু চির বিচার চলছে।
তার বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং পৃথক ও আরও গুরুতর একটি মামলায় সরকারি গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে। সু চির আইনজীবীর এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তার আইনি দলের নেতা খিন মাউং জাও জানিয়েছেন, সু চি সোমবার আদালতে হাজির হতে পারেননি আর বিচারকরা তার অনুপস্থিতি অনুমোদন করেছেন। এক লিখিত বার্তায় তিনি বলেছেন, “তাকে অসুস্থ মনে হচ্ছিল, তিনি হাঁচি দিচ্ছিলেন এবং ঘুম পাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তাই আইনজীবীর তার সঙ্গে সংক্ষেপে কথাবার্তা সারেন।”