ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

সুড়ঙ্গে ঢোকার ১১০ বছরেও নিখোঁজ ইতালির ট্রেন

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ১৯১১ সালে ধুমধাম করে একটি ট্রেন চালু করেছিল ইতালির জেনেত্তি নামের একটি রেল সংস্থা। উদ্বোধনের দিন সমস্ত যাত্রীদের বিনা টিকিটে ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল তারা। ছয়জন রেলকর্মী এবং ১০০ জন যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল ট্রেনটি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছানো হয়নি তার। মাঝ পথে রহস্যজনকভাবে ট্রেনটি গায়েব হয়ে যায়। ১১০ বছরেও খোঁজ মেলেনি সেই ট্রেন এবং যাত্রীদের।
এতগুলো যাত্রী নিয়ে আস্ত ট্রেন কীভাবে মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে তার কারণ অনুসন্ধান করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শোনা যায়, অনেক খুঁজেও ট্রেনের কোনও চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ১৯১১ সালে রোমের একটি স্টেশন থেকে ১০০ যাত্রী এবং ওই ছয় কর্মী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা সকলেই খুব উপভোগ করছিলেন যাত্রা। যাত্রীদের জন্য ট্রেনে মজার খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনে করে যাত্রীদের ইতালির বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখানো।
যাত্রাপথে একটি সুড়ঙ্গ পড়েছিল। ট্রেন সেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু আর বের হয়নি। পরবর্তীকালে ট্রেনের সন্ধানে সুড়ঙ্গের মধ্যে অনেকেই গিয়েছেন। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি হওয়া ওই সুড়ঙ্গের ভিতর আর কোনো রাস্তা ছিল না। ট্রেন দুর্ঘটনারও কোনো চিহ্ন মেলেনি। ট্রেনের মধ্যে মোট ১০৬ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের সন্ধান পরবর্তীকালে পাওয়া গিয়েছিল। সুড়ঙ্গের বাইরে থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, অগোছালো কথা বলছিলেন তাঁরা। ওই ঘটনা সম্বন্ধে বিশদভাবে কিছুই জানাতে পারেননি তাঁরা। দুজনের কথার বিষয়বস্তু ছিল একই। সুড়ঙ্গে প্রবেশের মুহূর্তে সাদা ধোঁয়া গ্রাস করেছিল ট্রেনটিকে। সেই সময় নাকি কোনোক্রমে দুজনে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তারপর আর কিছু মনে ছিল না তাঁদের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা পড়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোঁজও থামিয়ে দিতে হয়। তাহলে ট্রেনটির কী হলো? ট্রেনের ওই ১০৪ জন যাত্রীই বা কোথায় গেলেন? যত সময় এগিয়েছে এই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

সুড়ঙ্গে ঢোকার ১১০ বছরেও নিখোঁজ ইতালির ট্রেন

আপডেট সময় : ১২:২৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ১৯১১ সালে ধুমধাম করে একটি ট্রেন চালু করেছিল ইতালির জেনেত্তি নামের একটি রেল সংস্থা। উদ্বোধনের দিন সমস্ত যাত্রীদের বিনা টিকিটে ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল তারা। ছয়জন রেলকর্মী এবং ১০০ জন যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল ট্রেনটি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছানো হয়নি তার। মাঝ পথে রহস্যজনকভাবে ট্রেনটি গায়েব হয়ে যায়। ১১০ বছরেও খোঁজ মেলেনি সেই ট্রেন এবং যাত্রীদের।
এতগুলো যাত্রী নিয়ে আস্ত ট্রেন কীভাবে মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে তার কারণ অনুসন্ধান করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শোনা যায়, অনেক খুঁজেও ট্রেনের কোনও চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ১৯১১ সালে রোমের একটি স্টেশন থেকে ১০০ যাত্রী এবং ওই ছয় কর্মী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা সকলেই খুব উপভোগ করছিলেন যাত্রা। যাত্রীদের জন্য ট্রেনে মজার খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনে করে যাত্রীদের ইতালির বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখানো।
যাত্রাপথে একটি সুড়ঙ্গ পড়েছিল। ট্রেন সেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু আর বের হয়নি। পরবর্তীকালে ট্রেনের সন্ধানে সুড়ঙ্গের মধ্যে অনেকেই গিয়েছেন। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি হওয়া ওই সুড়ঙ্গের ভিতর আর কোনো রাস্তা ছিল না। ট্রেন দুর্ঘটনারও কোনো চিহ্ন মেলেনি। ট্রেনের মধ্যে মোট ১০৬ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের সন্ধান পরবর্তীকালে পাওয়া গিয়েছিল। সুড়ঙ্গের বাইরে থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, অগোছালো কথা বলছিলেন তাঁরা। ওই ঘটনা সম্বন্ধে বিশদভাবে কিছুই জানাতে পারেননি তাঁরা। দুজনের কথার বিষয়বস্তু ছিল একই। সুড়ঙ্গে প্রবেশের মুহূর্তে সাদা ধোঁয়া গ্রাস করেছিল ট্রেনটিকে। সেই সময় নাকি কোনোক্রমে দুজনে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তারপর আর কিছু মনে ছিল না তাঁদের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা পড়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোঁজও থামিয়ে দিতে হয়। তাহলে ট্রেনটির কী হলো? ট্রেনের ওই ১০৪ জন যাত্রীই বা কোথায় গেলেন? যত সময় এগিয়েছে এই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার