স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যয়বহুল ওষুধের দরকার পড়বে না, যদি নিয়মিত কিছু সহজ ও ছোট অভ্যাস মেনে চলা হয়। সবকিছু কঠিন করে তোলার বদলে সময় এসেছে মৌলিক বিষয়গুলোতে ফিরে যাওয়ার; বেশি দেরি হওয়ার আগে। প্রতিদিনের সেই কাজগুলো সম্পর্কে আজ জানানো হলো-
খাবারের পরে ১০ মিনিট হাঁটুন: খাবারের পরে অন্তত ১০ মিনিট হলেও হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই কমাতে পারে। এই সংক্ষিপ্ত হাঁটাচলা হজমে সহায়তা করে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং বিপাকীয় সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এটি কম পরিশ্রমে বড় পুরস্কার পাওয়ার মতো। সবচেয়ে ব্যস্ত সময়েও আপনি এভাবে ফিট থাকতে পারেন। খাবার খেয়েই শুয়ে কিংবা বসে না পড়ে অন্তত ১০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডকে অগ্রাধিকার দিন: ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, হৃদরোগ এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, সার্ডিন), তিসি এবং আখরোটের মতো খাবার খেলে তা ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিজেকে ভালো রাখতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মানসম্মত ঘুম: মানসম্মত ঘুম কোনো বিলাসিতা নয়; এটি সুস্বাস্থ্যের একটি পরম ভিত্তি। ঘুমের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে মানসিক অস্থিরতা এবং রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পর্যন্ত সবকিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ও গভীর ঘুম জরুরি। ঘুমকে আপনার খাদ্যতালিকা বা ব্যায়ামের মতোই গুরুত্ব সহকারে নিন।
প্লাস্টিক পরিত্যাগ: খাবার এবং পানীয় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক পরিত্যাগ করতে হবে। প্লাস্টিক থেকে ইচঅ এবং BPA Ges phthalates-এর মতো হরমোন-বিঘ্নিত রাসায়নিক নির্গত হয়। ধীরে ধীরে এটি ইনফার্টিলিটি, বিপাকীয় ব্যাঘাত, এমনকি ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে। কাঁচ বা স্টেইনলেস-স্টিলের পাত্রের ব্যবহার জীবনে টক্সিক লোড কমানোর একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: যদিও অনেকে ওজন বা BMI-এর দিকে মনোযোগ দেন, তবে রক্ত পরীক্ষায় আরো গভীর স্বাস্থ্য তথ্য পাওয়া যায়। LDL কোলেস্টেরল, উচ্চ-সংবেদনশীলতা CRP এবং নিয়মিত ইনসুলিনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে তা কার্ডিওভাসকুলার এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের আরো সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে পারে। বয়স ৩৫-এর পর থেকে দুই বছরে একবার এবং ৫০-এর পর প্রতি বছর একবার করে পরীক্ষাগুলো করা উচিৎ। পরীক্ষাগুলো লক্ষণ দেখা দেওয়ার কয়েক বছর আগে থেকেই সমস্যা সনাক্ত করতে পারে।