নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যে ফলাফল হবে তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল কেন্দ্রে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।এ সময় নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক পোলিং এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
রাকিব বলেন, সব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের ভেতরে যারা রয়েছেন, তারা জানিয়েছেন— পোলিং এজেন্ট কম থাকায় কেউ যদি দুটি ব্যালট পেপার পায়, সেটি যাচাই করা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মনিটরিং করার ব্যবস্থা যেহেতু কম, দুটো ব্যালট পেপার পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি বড় ধরনের আশঙ্কা। গতকালই এ নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল।
তিনি আরো বলেন, প্রতি কেন্দ্রে আটজন করে পোলিং এজেন্ট দেওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী আমরা নামও জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু দেওয়া হয়েছে একজন করে। কেন্দ্রে ২০-৩০টি বুথের জন্য একজন এজেন্ট, একজনের পক্ষে সব দেখা সম্ভব না।
নিরাপত্তা পাসও অনেক রাতে পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রাকিব।
এদিন সকাল ৮টায় ডাকসুতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে এই ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণের শুরুতেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ছাত্রীদের কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
ভোটাররা ডাকসুর ২৮টি পদ এবং প্রতিটি হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দেবেন। কেন্দ্রীয় সংসদের পদগুলোতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, হল সংসদের ১৮টি হল থেকে এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে, সময় পাবেন ১০ মিনিট।
এসি/আপ্র/০৯/০৯/২০২৫