ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কঠোর হওয়ার বার্তা সিইসির

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতার কোনো ঘাটতি দেখছেন না উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হতে পারে।
গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।
জাসদ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণে সংলাপে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রকৃত ব্যয় বেশি। অনেকে ১০, ২০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন কিন্তু প্রকৃত ব্যয় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখানে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট একটা পার্থক্য আছে। অর্থশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রচার যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে ব্যয় কমে যায়। একই মঞ্চ থেকে যদি সব দলের প্রচার করা হয় এটাকে প্রজেক্টশন মিটিং বলে, বিদেশেও হয়। এখানে অনেকে বলেছেন। প্রস্তাবটা আমার ভালো লেগেছে। তবে আমাদের আইনে সেটা নেই।
সিইসি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ছাড়াও কয়েকটি আইন আছে। ক্ষমতার কোনো ঘাটতি দেখছি না। মানে প্রথমে সংবিধানে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে থাকবে। এরপর আরপিও, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, আচরণ বিধিমালা আছে। আরেকটা আছে নির্বাচন কর্মচারি বিশেষ বিধান আইন। অতএব যারা নির্বাচনি কাজে ন্যস্ত থাকবে, তারা আমাদের অধীনে ন্যস্ত থাকবে ওই সময়। কেউ যদি ডিফাইন করে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আমি সেদিক থেকে মনে করছি না যে, ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে। কিন্তু সহাযোগিতা চাই যে আমরা যদি আইনানুগ ভাবে প্রয়োগ করি আপনারা যেন সমর্থন দেন। সমর্থন না দিয়ে যদি বিরুদ্ধাচরণ করেন, তবে খুব কঠিন হবে। আমরা চেষ্টা করবো আরোপিত ক্ষমতাগুলো সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একটু কঠোর হতে পারে। সেটা আমাদের জন্য নয়। আপনাদের সবার জন্য, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।
কূটনৈতিকদের প্রশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে জাসদের প্রস্তাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনারা কূটনৈতিকদের কথা বলেছেন। হ্যাঁ, কয়েকদিন আগে একটা গ্রুপ এসেছিল। তারা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেয়নি। বাইরে থেকে মনে হতে পারে, তবে ওরা শুধু অবহিত হয়েছেন, আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে। উনারা কোনো পরামর্শ দেননি। আমি যেটা শুনেছি, যখন কোনো নির্বাচন আসে, এরা ধারাবাহিক এসে সাক্ষাৎ করে যান।
সিইসি আরও বলেন, আপনারা সালিশীর কথা বলেছেন। সবাই বলছে নির্বাচনটা যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কাউকে নির্বাচনে আসতে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। ওটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সবাইকে আহ্বান করা। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কথা বলেছেন। কোনো দিকে আমরা পক্ষপাত, কোনোদিক আমরা নিপীড়নমূলক হয়ে পড়ি। অথবা যে মাঠে যে জিনিসগুলো সহায়ক হওয়া উচিত, সে জিনিসগুলো ওভাবে আসছে না। এই ক্ষেত্রে সবাই যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন, সেই ক্ষেত্রেই সবাই বলছে যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে কি-না, কেন্দ্রে মারামারি হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না। এই জন্য আমাদের কাছে চলে আসে। কারণ আইনে আমাদের কথা বলেছে পুলিশ, প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কঠোর হওয়ার বার্তা সিইসির

আপডেট সময় : ০২:১৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতার কোনো ঘাটতি দেখছেন না উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর হতে পারে।
গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।
জাসদ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণে সংলাপে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রকৃত ব্যয় বেশি। অনেকে ১০, ২০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন কিন্তু প্রকৃত ব্যয় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখানে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট একটা পার্থক্য আছে। অর্থশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রচার যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে ব্যয় কমে যায়। একই মঞ্চ থেকে যদি সব দলের প্রচার করা হয় এটাকে প্রজেক্টশন মিটিং বলে, বিদেশেও হয়। এখানে অনেকে বলেছেন। প্রস্তাবটা আমার ভালো লেগেছে। তবে আমাদের আইনে সেটা নেই।
সিইসি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ছাড়াও কয়েকটি আইন আছে। ক্ষমতার কোনো ঘাটতি দেখছি না। মানে প্রথমে সংবিধানে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ নির্বাচনের সময় ইসির অধীনে থাকবে। এরপর আরপিও, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, আচরণ বিধিমালা আছে। আরেকটা আছে নির্বাচন কর্মচারি বিশেষ বিধান আইন। অতএব যারা নির্বাচনি কাজে ন্যস্ত থাকবে, তারা আমাদের অধীনে ন্যস্ত থাকবে ওই সময়। কেউ যদি ডিফাইন করে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আমি সেদিক থেকে মনে করছি না যে, ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে। কিন্তু সহাযোগিতা চাই যে আমরা যদি আইনানুগ ভাবে প্রয়োগ করি আপনারা যেন সমর্থন দেন। সমর্থন না দিয়ে যদি বিরুদ্ধাচরণ করেন, তবে খুব কঠিন হবে। আমরা চেষ্টা করবো আরোপিত ক্ষমতাগুলো সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একটু কঠোর হতে পারে। সেটা আমাদের জন্য নয়। আপনাদের সবার জন্য, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।
কূটনৈতিকদের প্রশ্রয় না দেওয়ার বিষয়ে জাসদের প্রস্তাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনারা কূটনৈতিকদের কথা বলেছেন। হ্যাঁ, কয়েকদিন আগে একটা গ্রুপ এসেছিল। তারা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেয়নি। বাইরে থেকে মনে হতে পারে, তবে ওরা শুধু অবহিত হয়েছেন, আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে। উনারা কোনো পরামর্শ দেননি। আমি যেটা শুনেছি, যখন কোনো নির্বাচন আসে, এরা ধারাবাহিক এসে সাক্ষাৎ করে যান।
সিইসি আরও বলেন, আপনারা সালিশীর কথা বলেছেন। সবাই বলছে নির্বাচনটা যাতে অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কাউকে নির্বাচনে আসতে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। ওটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সবাইকে আহ্বান করা। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কথা বলেছেন। কোনো দিকে আমরা পক্ষপাত, কোনোদিক আমরা নিপীড়নমূলক হয়ে পড়ি। অথবা যে মাঠে যে জিনিসগুলো সহায়ক হওয়া উচিত, সে জিনিসগুলো ওভাবে আসছে না। এই ক্ষেত্রে সবাই যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন, সেই ক্ষেত্রেই সবাই বলছে যে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে কি-না, কেন্দ্রে মারামারি হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না। এই জন্য আমাদের কাছে চলে আসে। কারণ আইনে আমাদের কথা বলেছে পুলিশ, প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।