প্রত্যাশা ডেস্ক: ইসরায়েলের নানামুখী বাধা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর। জর্ডান থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক জানান, এ নৌবহর থেকে আটক ফিলিস্তিনপন্থী অধিকারকর্মীরা ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে পৌঁছতে পারেন। এ বন্দরটি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।
আল-জাজিরা বলছে, আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে আশদোদ বন্দরে পৌঁছতে পারে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক ব্যক্তিরা। তবে তাঁরা একসঙ্গে বন্দরে পৌছাবেন না। কাজেই সবার পৌঁছাতে আরও সময় লাগতে পারে। এমনকি আজ পুরো দিন লেগে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে ফ্লোটিলায় বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অন্তত আটটি নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলো হলো দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে রয়টার্সের খবরে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ওই নৌযানগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করেন। এঁদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। পরে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেটা ও তাঁর বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’
পরে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানান, গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরে থাকা ১৩টি নৌযান সাগরে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আটক করা হয়েছে বহরে থাকা ৩৭ দেশের দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে। এ বাধা নৌবহরটির অগ্রযাত্রা রুখতে পারেনি।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষ রয়েছেন। এঁদের যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।
ওআ/আপ্র/০২/১০/২০২৫