নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষার মাসের প্রথম দিন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের ‘বাংলা সংস্করণ’ উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওয়েবসাইটটির ‘বাংলা সংস্করণের উদ্বোধন করেন। ওয়েবসাইট উদ্বোধনের সময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণের উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট একটি তথ্যবহুল, জনমুখী ও জনবান্ধব ওয়েব পোর্টাল। দেশের অপামর জনসাধারণ, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, আইনের শিক্ষার্থী, গবেষকসহ দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনও ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট থেকে সুপ্রিম কোর্টের মামলা সংক্রান্ত এবং অন্যান্য তথ্য পেতে পারেন। এতদিন বাংলা সংস্করণ না থাকায় ওয়েবসাইট থেকে অনেকেরই তথ্য সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হতো। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে মহান ভাষার মাসের শুরুতেই মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণের উদ্বোধন করলেন।
ভাষাশহীদদের সম্মানে বাংলায় রায় দিলেন হাইকোর্ট: মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বাংলা ভাষায় রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক রিট মামলায় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রায় ঘোষণার আগে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, ‘আজ ১ ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস আজ থেকে শুরু। ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলায় এই রায় ঘোষণা করছি।’
এ সময় অর্পিত সম্পত্তি-সংক্রান্ত একটি মামলার রুল নিষ্পত্তি করে তা শুনানির জন্য পুনরায় অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়ার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ‘আলোচনা ও আইনজীবীর যুক্তিতর্ক পর্যালোচনান্তে আমরা এই মোকদ্দমার গুণাগুণ পর্যালোচনায় প্রবেশ না করে রুলটি নি¤œলিখিত নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হই।’
নির্দেশনাগুলো হলো, দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন; দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে চাইলে এই আদেশ হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে; অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করার ক্ষেত্রে তামাদি মার্জনীয় হবে; অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালের আদেশ আপিল করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পক্ষগণ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দখলের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে বলে জানান আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট ওয়েবসাইটের ‘বাংলা সংস্করণ’ উদ্বোধন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ