নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগে, গত ২৬ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান ইউনিট চালু এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ সচেতন নাগরিক হিসেবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বিধান করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, আইনের ধারা-৩ মতে অন্যান্য প্রচলিত আইনের বিধানাবলির ওপর উক্ত আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে। উক্ত আইনের ধারা-৪ মতে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকবে এবং কোনো নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে। এর আগে, গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান ইউনিট চালু এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সে নোটিশ হাতে পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে সে নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে ৬০ দিনের মধ্যে তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ