ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ পালন করার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেট প্রকাশ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। গত বছরে অক্টোবর মাসে বৈঠকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার প্রস্তাব দেয় সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়ও সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠকে এই প্রস্তাবে একমত হয়। তখন মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।
বুধবারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি’।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, আমরা কত আগে এই সুপারিশ করেছিলাম। অথচ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও কিছুই জানাতে পারেনি। এটা নিয়ে কোনও কাজই করেনি। আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। তিনি বলেন, আমরা একটা সার-সংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে এই দিবস ঘোষণা করা যেতে পারে। বছরের একটা দিন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দিবস রাখা দরকার। মুক্তিযোদ্ধারা অনাদিকাল বেঁচে থাকবেন না। পরের প্রজন্ম তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে।
বুকলেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া হয় সেটা একটা বুকলেট করে তাদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। এ বিষয়েও মন্ত্রণালয় বলেছে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। এটা তো কঠিন কোনও কাজ নয়। সবই তো আছে। একটা বুকলেট তৈরি করতে কী সমস্যা?
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদারকি করার জন্য সুপারিশ করা হয়। স্বাধীনতার স্মৃতি রক্ষার্থে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাকরাইলের জমিতে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশ নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

আপডেট সময় : ০১:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ পালন করার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেট প্রকাশ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। গত বছরে অক্টোবর মাসে বৈঠকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার প্রস্তাব দেয় সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়ও সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠকে এই প্রস্তাবে একমত হয়। তখন মন্ত্রণালয় জানায়, এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হবে।
বুধবারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রণালয় জানায়, ‘এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি’।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, আমরা কত আগে এই সুপারিশ করেছিলাম। অথচ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও কিছুই জানাতে পারেনি। এটা নিয়ে কোনও কাজই করেনি। আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। তিনি বলেন, আমরা একটা সার-সংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর মতামত নিয়ে এই দিবস ঘোষণা করা যেতে পারে। বছরের একটা দিন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দিবস রাখা দরকার। মুক্তিযোদ্ধারা অনাদিকাল বেঁচে থাকবেন না। পরের প্রজন্ম তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে।
বুকলেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সুবিধা রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া হয় সেটা একটা বুকলেট করে তাদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। এ বিষয়েও মন্ত্রণালয় বলেছে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। এটা তো কঠিন কোনও কাজ নয়। সবই তো আছে। একটা বুকলেট তৈরি করতে কী সমস্যা?
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদারকি করার জন্য সুপারিশ করা হয়। স্বাধীনতার স্মৃতি রক্ষার্থে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাকরাইলের জমিতে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশ নেন।