কয়লাদূষণ বন্ধ করে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী বাঁচাও। নোংরা কয়লার ব্যবহার বন্ধ করে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করো। ২০৩৫ সালের মধ্যে এশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি প্রকল্প তুলে দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি।’ গতকাল শুক্রবার সকালে জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মোংলায় এন্ডকোলের (কয়লার পরিসমাপ্তি) জন্য এশিয়া ডে-অফ অ্যাকশন কর্মসূচি উপলক্ষ্যে নৌ র্যালি ও মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নুর আলম শেখ বলেন, ‘কয়লায় নির্ভরশীল বৃহত্তম বাজার হচ্ছে এশিয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়লার পরিসমাপ্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচ্য হবে। এ ছাড়া অবিলম্বে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্পসহ সকল কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে।’ পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলোতে বিনিয়োগসহ কয়লা নির্ভরতার অবসান কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। নৌ র্যালি ও মানববন্ধনে কয়েকশ নৌ অংশগ্রহণকারীরা কয়লাবিরোধী নানা রঙের প্ল্যাকার্ড এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে নৌ র্যালি এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ