ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

সুখী থাকার সহজ উপায় হাসি

  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

গবেষণা অনুযায়ী, সদা হাস্যমুখের অভিব্যক্তিতে ভিন্ন আবেগ অনুভূত হয়, সেই আবেগই সুখের চাবিকাঠি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে, গবেষকরা ১৩৮টি গবেষণা থেকে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিনাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র নিকোলাস কোলস বলেন, ‘প্রচলিত জ্ঞান ও সম্যক ধারণা থেকে এটা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি যে হাসলে নিজেরা ভেতর থেকে খানিক সুখী বোধ করি এবং রাগ হলে কিছুটা মেজাজি থাকি। কিন্তু মনস্তত্ত্ববিদরা গত ১০০ বছর ধরে এই ধারণা সম্পর্কে অসম্মতি প্রকাশ করে গেছেন।’
এই অসম্মতিটি আরও জোরদার হয় যখন ২০১৬ সালে ১৭ জন বৈজ্ঞানিকের দল প্রমাণ করতে কার্যত ব্যর্থ হন যে, হাসি মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষকে সুখী করে তোলে। নিকোলাস কোলস জানান, বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় না যে মুখের অভিব্যক্তিগুলো মানসিক অনুভূতিগুলোকে আদৌ প্রভাবিত করতে পারে কি না। তিনি বলেন, কোনো এক ধরনের গবেষণার ওপর নির্ভর করে কাজ করা হয়নি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, মুখের ভাবমূর্তি অনুভূতিদের ওপর ছোটখাটো প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হাসি মানুষকে অন্তর থেকে সুখী করে তোলে, সাময়িক মেজাজ ক্রোধের সঞ্চার করে এবং বিরক্তি এক অন্তরবেদনার উদ্রেক করে। এই গবেষণা থেকে আরও বোঝা যাচ্ছে, উত্তেজনাপূর্ণ অভিব্যক্তি কীভাবে মন ও শরীরের আবেগের মধ্যে সচেতনভাবে যোগাযোগ স্থাপন করছে। তবে এখনো অভিব্যক্তির প্রভাব সম্পর্কে অনেক কিছু জানার বাকি আছে। কিন্তু মেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বোঝা গেছে আবেগ কিভাবে কাজ করে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

একাদশ ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাতে

সুখী থাকার সহজ উপায় হাসি

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

গবেষণা অনুযায়ী, সদা হাস্যমুখের অভিব্যক্তিতে ভিন্ন আবেগ অনুভূত হয়, সেই আবেগই সুখের চাবিকাঠি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে, গবেষকরা ১৩৮টি গবেষণা থেকে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিনাসি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র নিকোলাস কোলস বলেন, ‘প্রচলিত জ্ঞান ও সম্যক ধারণা থেকে এটা আমরা নিজেরাই বুঝতে পারি যে হাসলে নিজেরা ভেতর থেকে খানিক সুখী বোধ করি এবং রাগ হলে কিছুটা মেজাজি থাকি। কিন্তু মনস্তত্ত্ববিদরা গত ১০০ বছর ধরে এই ধারণা সম্পর্কে অসম্মতি প্রকাশ করে গেছেন।’
এই অসম্মতিটি আরও জোরদার হয় যখন ২০১৬ সালে ১৭ জন বৈজ্ঞানিকের দল প্রমাণ করতে কার্যত ব্যর্থ হন যে, হাসি মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষকে সুখী করে তোলে। নিকোলাস কোলস জানান, বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় না যে মুখের অভিব্যক্তিগুলো মানসিক অনুভূতিগুলোকে আদৌ প্রভাবিত করতে পারে কি না। তিনি বলেন, কোনো এক ধরনের গবেষণার ওপর নির্ভর করে কাজ করা হয়নি। মেটা বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যান কৌশল ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে পরীক্ষা করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন জার্নালে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, মুখের ভাবমূর্তি অনুভূতিদের ওপর ছোটখাটো প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হাসি মানুষকে অন্তর থেকে সুখী করে তোলে, সাময়িক মেজাজ ক্রোধের সঞ্চার করে এবং বিরক্তি এক অন্তরবেদনার উদ্রেক করে। এই গবেষণা থেকে আরও বোঝা যাচ্ছে, উত্তেজনাপূর্ণ অভিব্যক্তি কীভাবে মন ও শরীরের আবেগের মধ্যে সচেতনভাবে যোগাযোগ স্থাপন করছে। তবে এখনো অভিব্যক্তির প্রভাব সম্পর্কে অনেক কিছু জানার বাকি আছে। কিন্তু মেটা অ্যানালিসিসের মাধ্যমে কিছুটা হলেও বোঝা গেছে আবেগ কিভাবে কাজ করে।