ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা সম্পর্কে সরকার তথ্য চায়নি: সুইস রাষ্ট্রদূত

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে নির্দিষ্ট করে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যা-ে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড কালো টাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়। এ বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে নির্দিষ্ট করে কারো সম্পর্কে তথ্য চায়নি। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ড সরকার সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধন করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালো টাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই। নাথালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আমি বলতে চাচ্ছি, সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মানদ- বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বলতে চাইছি, আন্তর্জাতিক মান অনুসারে আমরা এই ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও চুক্তি করতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা সরকারকে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছি। বাংলাদেশের জন্য সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে নাথালি চুয়ার্ড বলেন, গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সুইস সরকার ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। গ্রিন জ্বালানি ও প্রযুক্তির প্রসারে সুইস সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুইজারল্যান্ড সব সময় পাশে আছে। রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন হোক, এটি চেয়ে আসছে সুইজারল্যান্ড। নাথালি চুয়ার্ড বলেন, সুইস সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ দেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সুইস সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মতো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারলে এ দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা সম্পর্কে সরকার তথ্য চায়নি: সুইস রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০২:১৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা নিয়ে নির্দিষ্ট করে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য চায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
গতকাল বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যা-ে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড কালো টাকা রাখার স্বর্গরাজ্য নয়। এ বিষয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে নির্দিষ্ট করে কারো সম্পর্কে তথ্য চায়নি। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ড সরকার সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধন করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুইস ব্যাংক আন্তর্জাতিক সব প্রক্রিয়া মেনেই কাজ করে। সেখানে কালো টাকা বা দুর্নীতির অর্থ রাখার কোনো নিয়ম নেই। নাথালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আমি বলতে চাচ্ছি, সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক মানদ- বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বলতে চাইছি, আন্তর্জাতিক মান অনুসারে আমরা এই ধরনের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও চুক্তি করতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা সরকারকে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছি। বাংলাদেশের জন্য সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে নাথালি চুয়ার্ড বলেন, গত বছর দুই দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সুইস সরকার ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। আগামী দিনগুলোতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। গ্রিন জ্বালানি ও প্রযুক্তির প্রসারে সুইস সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুইজারল্যান্ড সব সময় পাশে আছে। রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদে প্রত্যাবাসন হোক, এটি চেয়ে আসছে সুইজারল্যান্ড। নাথালি চুয়ার্ড বলেন, সুইস সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ দেশে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম সুইস সরকারের সহায়তায় হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের মতো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারলে এ দেশের জনগণ আরও বেশি উপকৃত হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।