ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রিজার্ভ সেনা তলব তাজিকিস্তানের

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবান জঙ্গিদের অগ্রগতির মুখে আফগানিস্তানের হাজারেরও বেশি সেনা পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়ার পর সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিবেশী তাজিকিস্তান।
গত সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রখমন সামরিক বাহিনীর ২০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকা সীমান্তে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০ বছর ধরে লড়াই চালানোর পর শান্তি আলোচনার স্থবিরতার মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সৈন্য প্রত্যাহার প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে। এ সময়ে আফগান সেনাদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার এই ঘটনা আফগানিস্তানের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট রখমন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের ফোন করেছেন।
এর পাশাপশি তিনি উজবেকিস্তান, কাজাখস্তানের নেতাদরে সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বলে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ক্রেমলিন তাদের দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত স্থিতিশীল করার প্রয়োজন দেখা দিলে রাশিয়া তাজিকিস্তানকে সরাসরি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোটের মাধ্যমে সমর্থন যোগাবে বলে রখমনকে আশ্বস্ত করেছেন পুতিন।
তাজিকিস্তানে রাশিয়ার বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি আছে। বিদেশে মস্কোর সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি তাজিকিস্তানে। ওই ঘাঁটিতে ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার ও স্থলে হামলা চালানোর মতো বিমান মোতায়েন আছে।
সোমবার সকালে তাজিকিস্তানের সরকারি সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের আগমণের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে তাজিকিস্তান শিবির স্থাপনের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের অগ্রগতির মুখে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্য পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে রোববারের পশ্চাদপসরণ সবচেয়ে বড় ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তাদের প্রধান বিমান ঘাঁটি বাগরাম খালি করে যাওয়ার দুই দিনের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, নেটো ও তাদের মিত্র দেশগুলো।
তাজিকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান, চীন ও তাদের সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের ছয়টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালেবান, এর পরপরই ১০৩৭ জন আফগান সেনা পালিয়ে এসে তাজিকিস্তানের অনুমতি নিয়ে সীমান্ত পার হয়।
রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট রখমনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে রিজার্ভ সেনা তলব তাজিকিস্তানের

আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবান জঙ্গিদের অগ্রগতির মুখে আফগানিস্তানের হাজারেরও বেশি সেনা পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়ার পর সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিবেশী তাজিকিস্তান।
গত সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রখমন সামরিক বাহিনীর ২০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে আফগানিস্তানের সঙ্গে থাকা সীমান্তে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০ বছর ধরে লড়াই চালানোর পর শান্তি আলোচনার স্থবিরতার মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সৈন্য প্রত্যাহার প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে। এ সময়ে আফগান সেনাদের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেওয়ার এই ঘটনা আফগানিস্তানের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিকে তুলে ধরেছে।
এ পরিস্থিতি নিয়ে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট রখমন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের ফোন করেছেন।
এর পাশাপশি তিনি উজবেকিস্তান, কাজাখস্তানের নেতাদরে সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বলে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ক্রেমলিন তাদের দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত স্থিতিশীল করার প্রয়োজন দেখা দিলে রাশিয়া তাজিকিস্তানকে সরাসরি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোটের মাধ্যমে সমর্থন যোগাবে বলে রখমনকে আশ্বস্ত করেছেন পুতিন।
তাজিকিস্তানে রাশিয়ার বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি আছে। বিদেশে মস্কোর সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি তাজিকিস্তানে। ওই ঘাঁটিতে ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার ও স্থলে হামলা চালানোর মতো বিমান মোতায়েন আছে।
সোমবার সকালে তাজিকিস্তানের সরকারি সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের আগমণের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে তাজিকিস্তান শিবির স্থাপনের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের অগ্রগতির মুখে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্য পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে রোববারের পশ্চাদপসরণ সবচেয়ে বড় ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তাদের প্রধান বিমান ঘাঁটি বাগরাম খালি করে যাওয়ার দুই দিনের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল।
১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, নেটো ও তাদের মিত্র দেশগুলো।
তাজিকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান, চীন ও তাদের সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাদাখশানের ছয়টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে তালেবান, এর পরপরই ১০৩৭ জন আফগান সেনা পালিয়ে এসে তাজিকিস্তানের অনুমতি নিয়ে সীমান্ত পার হয়।
রোববার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট রখমনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।