ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বলল এনসিপি

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

এনসিপির লোগো

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এনসিপি এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের দিক থেকেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে।

এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত কর্তৃক পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে এবং এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে। এনসিপি বিবদমান পক্ষকে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে ধৈর্য ও সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।

ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যুদ্ধের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সুযোগে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দলটি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের সামনের সারির নেতাদের নিয়ে গঠিত এনসিপি বলছে, ভারতে অবস্থানরত পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

এই দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চক্রান্তে লিপ্ত। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ও সশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, তারা যেন সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে।

সব রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐক্য গড়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে এনসিপি বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বলল এনসিপি

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এনসিপি এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।

কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের দিক থেকেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে।

এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত কর্তৃক পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরো ঘনীভূত করেছে এবং এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে। এনসিপি বিবদমান পক্ষকে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে ধৈর্য ও সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।

ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যুদ্ধের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সুযোগে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দলটি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের সামনের সারির নেতাদের নিয়ে গঠিত এনসিপি বলছে, ভারতে অবস্থানরত পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মী বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

এই দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চক্রান্তে লিপ্ত। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ও সশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, তারা যেন সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে।

সব রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐক্য গড়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে এনসিপি বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পারে।