ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

সীমান্তে কেন হয়রানি?

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতে ভ্রমণ ভিসায় ঘুরে আসার মেয়াদ তিন মাস পূর্ণ না হলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশনার পর বেনাপোল থেকে শত শত ভারতগামী বাংলাদেশিকে ফেরত যাচ্ছেন বলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান।
গতকাল শনিবার তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ ভিসায় গমনকারীদের তিন মাস পূর্ণ না হলে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে ব্যবসা, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভিসায় পারাপার স্বাভাবিক ছিল। কেন কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ওসি আরও বলেন, “ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ভ্রমণ ভিসায় যারা যাতায়াত করেন, তাদের অধিকাংশই ঘুরতে গিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এসব যাত্রী বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় গেলে বাধা থাকবে না।”
তবে এসব বিষয়ে পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত নির্দেশনা তাদের কাছে নেই বলে জানান ওসি। ঢাকা থেকে আসা রতন কুমার পেট্রাপোল থেকে ফেরত এসেছেন। তাকে ভারতে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দুই মাস আগে ভারত থেকে ঘুরে এসেছি বলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন আমাকে ভারতে ঢুকতে দেয়নি। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেট্রাপোলে গেলে সেখান থেকে আমাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকার অপর যাত্রী আরমান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারা পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ মনগড়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। আগে জানলে এতো খরচ করে আসতাম না। ছয় মাসের মাল্টিপল ভিসা নিয়েছি বারবার যাওয়ার জন্য; মে মাসে গিয়েছিলাম। এবার বলছে তিন মাস পর যাওয়া যাবে। তাহলে আর মাল্টিপল ভিসার দরকার কী?”
মাগুরার কাকলি বালা বলেন, “বেশকিছু কাজ নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলাম। এর আগে ২৮ এপ্রিল ভারতে ঢুকেছিলাম, ফিরেছি ৮ মে। তিন মাস পূর্ণ হয়নি, তাই মাল্টিপল ভিসা থাকলেও ওরা ফিরিয়ে দিয়েছে।”
বেনাপোলের ‘রাজা-বাদশা মানিচেঞ্জার’-এর মালিক আবুল বাশার বলেন, “এটা ভারতীয় ইমিগ্রেশনের স্বেচ্ছাচারিতা। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি হয়। হাইকমিশন যেখানে মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে, আবার তাদের চেকপোস্টে এসে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাইকমিশনের নিষেধাজ্ঞার কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারছেন না।“

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সীমান্তে কেন হয়রানি?

আপডেট সময় : ০২:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতে ভ্রমণ ভিসায় ঘুরে আসার মেয়াদ তিন মাস পূর্ণ না হলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশনার পর বেনাপোল থেকে শত শত ভারতগামী বাংলাদেশিকে ফেরত যাচ্ছেন বলে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান।
গতকাল শনিবার তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ ভিসায় গমনকারীদের তিন মাস পূর্ণ না হলে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে ব্যবসা, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভিসায় পারাপার স্বাভাবিক ছিল। কেন কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ওসি আরও বলেন, “ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ভ্রমণ ভিসায় যারা যাতায়াত করেন, তাদের অধিকাংশই ঘুরতে গিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এসব যাত্রী বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় গেলে বাধা থাকবে না।”
তবে এসব বিষয়ে পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের কোনো লিখিত নির্দেশনা তাদের কাছে নেই বলে জানান ওসি। ঢাকা থেকে আসা রতন কুমার পেট্রাপোল থেকে ফেরত এসেছেন। তাকে ভারতে যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দুই মাস আগে ভারত থেকে ঘুরে এসেছি বলে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন আমাকে ভারতে ঢুকতে দেয়নি। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পেট্রাপোলে গেলে সেখান থেকে আমাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকার অপর যাত্রী আরমান হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারা পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ মনগড়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। আগে জানলে এতো খরচ করে আসতাম না। ছয় মাসের মাল্টিপল ভিসা নিয়েছি বারবার যাওয়ার জন্য; মে মাসে গিয়েছিলাম। এবার বলছে তিন মাস পর যাওয়া যাবে। তাহলে আর মাল্টিপল ভিসার দরকার কী?”
মাগুরার কাকলি বালা বলেন, “বেশকিছু কাজ নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলাম। এর আগে ২৮ এপ্রিল ভারতে ঢুকেছিলাম, ফিরেছি ৮ মে। তিন মাস পূর্ণ হয়নি, তাই মাল্টিপল ভিসা থাকলেও ওরা ফিরিয়ে দিয়েছে।”
বেনাপোলের ‘রাজা-বাদশা মানিচেঞ্জার’-এর মালিক আবুল বাশার বলেন, “এটা ভারতীয় ইমিগ্রেশনের স্বেচ্ছাচারিতা। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি হয়। হাইকমিশন যেখানে মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে, আবার তাদের চেকপোস্টে এসে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাইকমিশনের নিষেধাজ্ঞার কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারছেন না।“