ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

সীতারাম ইয়েচুরির জীবনাবসান

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা, দলটির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মারা গেছেন। ৭২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সীতারাম ইয়েচুরি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছিলেন। গত ১৯ অগাস্ট তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। এর মধ্যে সম্প্রতি ইয়েচুরির চোখে ছানির অপারেশনও হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সিপিএমের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরোর সদস্য ইয়েচুরি ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আনন্দ বাজার পত্রিকা লিখেছে, ১৯৫২ সালের ১২ অগাস্ট মাদ্রাজে ইয়েচুরির জন্ম। তার পৈতৃক বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে। ১৯৬৯ সালে দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে ভর্তি হন ইয়েচুরি। সেখান থেকেই সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে। তারপর স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)। রাজনীতিতে ইয়েচুরির হাতেখড়ি স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার হাত ধরে। ১৯৭৫ সালে তিনি সিপিআইএমে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার যখন জরুরি অবস্থা জারি করল, তখন তিনি জেএনইউ থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করছিলেন। দলের অনেক নেতার সঙ্গে তখন তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ইয়েচুরির পিএইচডি আর শেষ করা হয়নি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন ইয়েচুরি। ১৯৯২ সালে তিনি দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন। চার বছর পর ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের হয়ে ক্ষমতাসীন জোট গঠনেও ইয়েচুরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সীতারাম ইয়েচুরিজি আমার বন্ধু ছিলেন। আমাদের দেশ সম্পর্কে তার উপলব্ধি ছিল গভীর। ভারতের ধারণার রক্ষক তিনি। আমরা দেশ ও রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হত তার সঙ্গে, সে সুযোগ আমি আর পাব না। এই শোকের মুহূর্তে তার পরিবার, বন্ধু ও অনুসারীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।” শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সীতারামের মত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের মৃত্যু জাতীয় রাজনীতির জন্য বড় ক্ষতি। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনগণের বিরুদ্ধে কাজের পরিণতি কী, তা আমরা ৫ আগস্ট দেখেছি: তারেক রহমান

সীতারাম ইয়েচুরির জীবনাবসান

আপডেট সময় : ০২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা, দলটির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মারা গেছেন। ৭২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, সীতারাম ইয়েচুরি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছিলেন। গত ১৯ অগাস্ট তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। এর মধ্যে সম্প্রতি ইয়েচুরির চোখে ছানির অপারেশনও হয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সিপিএমের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরোর সদস্য ইয়েচুরি ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আনন্দ বাজার পত্রিকা লিখেছে, ১৯৫২ সালের ১২ অগাস্ট মাদ্রাজে ইয়েচুরির জন্ম। তার পৈতৃক বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে। ১৯৬৯ সালে দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে ভর্তি হন ইয়েচুরি। সেখান থেকেই সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে। তারপর স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)। রাজনীতিতে ইয়েচুরির হাতেখড়ি স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার হাত ধরে। ১৯৭৫ সালে তিনি সিপিআইএমে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার যখন জরুরি অবস্থা জারি করল, তখন তিনি জেএনইউ থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করছিলেন। দলের অনেক নেতার সঙ্গে তখন তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ইয়েচুরির পিএইচডি আর শেষ করা হয়নি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন ইয়েচুরি। ১৯৯২ সালে তিনি দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন। চার বছর পর ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকারের হয়ে ক্ষমতাসীন জোট গঠনেও ইয়েচুরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সীতারাম ইয়েচুরিজি আমার বন্ধু ছিলেন। আমাদের দেশ সম্পর্কে তার উপলব্ধি ছিল গভীর। ভারতের ধারণার রক্ষক তিনি। আমরা দেশ ও রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হত তার সঙ্গে, সে সুযোগ আমি আর পাব না। এই শোকের মুহূর্তে তার পরিবার, বন্ধু ও অনুসারীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।” শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সীতারামের মত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের মৃত্যু জাতীয় রাজনীতির জন্য বড় ক্ষতি। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”