ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সিলেটে মাছের আড়তে শিশুশ্রম

  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

তাজুল ইসলাম ছামি : যে বয়সে শিশুর স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে খাবারের জন্য কাজ করতে হয় অনেককেই। সিলেটের কাজির বাজার মাছের আড়তে এমন অনেক শিশুকেই কাজ করতে দেখা যায়। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। মাছ বাজার ঘুরে বেশ কয়েক জন শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। কাওসার নামে এক শিশু বলে, সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১১ বছর। রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাছের ট্রাক আসে। সে ট্রাক থেকে মাছ নামায়। শুধু মাছ নামানো নয় নদী থেকে পানি এনে মাছ ধুয়ে দেয়। তার বিনিময়ে কেউ ১০ টাকা কেউ ২০ টাকা দেয়। দিনে একশত থেকে দুইশত টাকা আয় হয় তার। কথায় কথায় বলে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। তার বাবা রিকশা চালান আর তার মা মাটি কাটার কাজ করেন। টাকা দিয়ে কী কর জানতে চাইলে সে বলে, “পরিবারকে চলতে সাহায্য করি।” কথা হয় ১১ বছর বয়সী মুজাহিদের নামের আরেক শিশুর সঙ্গে। তার বাবা এখানে মাছ বিক্রি করেন। তারা দুই ভাই দুই বোন। সে জানায়, বাবার রোজগারে তাদের সংসার চলে চলে না। তাই এখানে কাজ করে তার পড়ালেখার খরচ চালায়। সে এখানে এক বছর যাবৎ কাজ করছে। এই আড়তেই অন্য শিশুদের সঙ্গে কাজ করে জাহিদ নামের আরেক শিশু। তার বয়স ১০ বছর। দিনে সে একশত থেকে তিনশত টাকা আয় করে। সে বলে, “আম্মাকে দেই দুইশত টাকা আর বাকি টাকা ব্যাংকে ফালাই।” বড় হয়ে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে এই শিশু। প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: সিলেট। সৌজন্যে: বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিলেটে মাছের আড়তে শিশুশ্রম

আপডেট সময় : ১০:৪৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

তাজুল ইসলাম ছামি : যে বয়সে শিশুর স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে খাবারের জন্য কাজ করতে হয় অনেককেই। সিলেটের কাজির বাজার মাছের আড়তে এমন অনেক শিশুকেই কাজ করতে দেখা যায়। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছর। মাছ বাজার ঘুরে বেশ কয়েক জন শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। কাওসার নামে এক শিশু বলে, সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার বয়স ১১ বছর। রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাছের ট্রাক আসে। সে ট্রাক থেকে মাছ নামায়। শুধু মাছ নামানো নয় নদী থেকে পানি এনে মাছ ধুয়ে দেয়। তার বিনিময়ে কেউ ১০ টাকা কেউ ২০ টাকা দেয়। দিনে একশত থেকে দুইশত টাকা আয় হয় তার। কথায় কথায় বলে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। তার বাবা রিকশা চালান আর তার মা মাটি কাটার কাজ করেন। টাকা দিয়ে কী কর জানতে চাইলে সে বলে, “পরিবারকে চলতে সাহায্য করি।” কথা হয় ১১ বছর বয়সী মুজাহিদের নামের আরেক শিশুর সঙ্গে। তার বাবা এখানে মাছ বিক্রি করেন। তারা দুই ভাই দুই বোন। সে জানায়, বাবার রোজগারে তাদের সংসার চলে চলে না। তাই এখানে কাজ করে তার পড়ালেখার খরচ চালায়। সে এখানে এক বছর যাবৎ কাজ করছে। এই আড়তেই অন্য শিশুদের সঙ্গে কাজ করে জাহিদ নামের আরেক শিশু। তার বয়স ১০ বছর। দিনে সে একশত থেকে তিনশত টাকা আয় করে। সে বলে, “আম্মাকে দেই দুইশত টাকা আর বাকি টাকা ব্যাংকে ফালাই।” বড় হয়ে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে এই শিশু। প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: সিলেট। সৌজন্যে: বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিভাগ ‘হ্যালো’।