ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

সিলেটে আবারও বন্যার শঙ্কা

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেটে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগাম বন্যার সতর্কতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ার চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে ৫৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বেশি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৯ মে আগাম বন্যার আগে দুদিন মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০ মিলিমিটার। এবার ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও বাংলাদেশের সিলেটে ৫৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) মাত্র ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। এতে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৬ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ফের জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বাসা বাড়িতে উঠেছে পানি। কোথাও রাস্তাঘাটে হাঁটু বা উরু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বিশেষ করে নগরের মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকায় ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সাধারণ লোকজনকে উরু পানি মাড়িয়েও চলাচল করতে দেখা গেছে। অভিজাত এলাকা খ্যাত শাহজালাল উপশহরে ফের অসংখ্য বাসার রিচ তলায় পানি উঠেছে। বাসা-বাড়ির রিচে সেপটিক ট্যাঙ্কে পানি উঠে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নগরের মীরাবাজার, যতরপুর, আগপাড়া, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাট, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, দরগামহল্লা, পায়রা, জালালাবাদ, চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, তালতলা, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ি, মিরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, বাগবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ভারী বর্ষণের কারণে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হয় সিলেটে। এই সময়ে ২২০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরের বিভিন্ন এলাকায়। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। এবার উজানে ভারতের ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেটে নদ নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। দেখা দিতে পারে অকাল বন্যা। ফলে জেলা প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, আগাম বন্যার শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তরকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৫১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো ২৯ মে বন্যার সময় প্রস্তুত করা হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিলেটে আবারও বন্যার শঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:১৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেটে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগাম বন্যার সতর্কতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ার চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে ৫৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বেশি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ২৯ মে আগাম বন্যার আগে দুদিন মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০ মিলিমিটার। এবার ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও বাংলাদেশের সিলেটে ৫৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) মাত্র ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। এতে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৬ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ফের জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বাসা বাড়িতে উঠেছে পানি। কোথাও রাস্তাঘাটে হাঁটু বা উরু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বিশেষ করে নগরের মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকায় ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সাধারণ লোকজনকে উরু পানি মাড়িয়েও চলাচল করতে দেখা গেছে। অভিজাত এলাকা খ্যাত শাহজালাল উপশহরে ফের অসংখ্য বাসার রিচ তলায় পানি উঠেছে। বাসা-বাড়ির রিচে সেপটিক ট্যাঙ্কে পানি উঠে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নগরের মীরাবাজার, যতরপুর, আগপাড়া, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাট, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, দরগামহল্লা, পায়রা, জালালাবাদ, চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, তালতলা, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ি, মিরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, বাগবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ভারী বর্ষণের কারণে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হয় সিলেটে। এই সময়ে ২২০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরের বিভিন্ন এলাকায়। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। এবার উজানে ভারতের ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেটে নদ নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। দেখা দিতে পারে অকাল বন্যা। ফলে জেলা প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, আগাম বন্যার শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তরকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫৫১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো ২৯ মে বন্যার সময় প্রস্তুত করা হয়।