ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সিরিয়ায় ১০ বছরের যুদ্ধে নিহত সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ: জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ১২:০৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১০ বছর ধরে চলমান যুদ্ধে সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে বেসামরিক লোকজন, এমনকি নারী ও শিশুরাও। গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেট মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, ২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষদের নিয়ে নতুন তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। দেখা গেছে, নিহত মানুষের প্রতি ১৩ জনের ১ জন নারী অথবা শিশু। আর যুদ্ধে নিহত মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি বলে জানান তিনি। এর আগে সবশেষ সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা যাচাই করতে ২০১৪ সালে জরিপ চালিয়েছিল জাতিসংঘ। সে সময় পর্যন্ত জরিপে ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আর নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে আলেপ্পো এলাকায়। দীর্ঘদিন বিরোধীদের দখলে থাকা এই অঞ্চলেই শুধু মারা গেছে ৫১ হাজার ৭৩১ জন সিরীয়।
সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষের তালিকার বের করতে জাতিসংঘ জোগাড় করেছে নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির নাম। পাশাপাশি তাদের মৃত্যুর স্থান ও সময়ও আমলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিহত লোকদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এর ফলে কিছু কিছু হত্যাকা-ের সঙ্গে কারা জড়িত, তা–ও জানা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন মিশেল ব্যাশলেট।
শুধু নিহতই নয়, দীর্ঘদিন ধরে চলা সিরিয়া যুদ্ধে যারা নিখোঁজ হয়েছে, তাদেরও একটি তালিকার আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছেন মিশেল ব্যাশলেট। তিনি বলেন, এর ফলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়া তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে কাজে আসবে এ তালিকা।
আরব বসন্তের ঢেউয়ে ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমন করতে শক্ত অবস্থান নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। এতে এক দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধের চক্করে পড়ে যায় সিরিয়া। এর জের ধরে দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে সঙিন শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি হয়। বিগত বছরগুলোয় সিরিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ। পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে ১০ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০ বছর পর সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলের দখল এখন বাশার আল–আসাদের হাতে। বাকি অঞ্চলগুলো রয়েছে বিদ্রোহীসহ নানান বিদেশি সেনার অধীনে। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ার যুদ্ধের সমাপ্তি শিগগিরই হওয়ার লক্ষণ নেই। তাই দেশটির বাসিন্দাদের বহুদিন ধরে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

সিরিয়ায় ১০ বছরের যুদ্ধে নিহত সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১২:০৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১০ বছর ধরে চলমান যুদ্ধে সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে বেসামরিক লোকজন, এমনকি নারী ও শিশুরাও। গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেট মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, ২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষদের নিয়ে নতুন তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। দেখা গেছে, নিহত মানুষের প্রতি ১৩ জনের ১ জন নারী অথবা শিশু। আর যুদ্ধে নিহত মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি বলে জানান তিনি। এর আগে সবশেষ সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা যাচাই করতে ২০১৪ সালে জরিপ চালিয়েছিল জাতিসংঘ। সে সময় পর্যন্ত জরিপে ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আর নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে আলেপ্পো এলাকায়। দীর্ঘদিন বিরোধীদের দখলে থাকা এই অঞ্চলেই শুধু মারা গেছে ৫১ হাজার ৭৩১ জন সিরীয়।
সিরিয়া যুদ্ধে নিহত মানুষের তালিকার বের করতে জাতিসংঘ জোগাড় করেছে নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির নাম। পাশাপাশি তাদের মৃত্যুর স্থান ও সময়ও আমলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে নিহত লোকদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। এর ফলে কিছু কিছু হত্যাকা-ের সঙ্গে কারা জড়িত, তা–ও জানা যাবে বলে উল্লেখ করেছেন মিশেল ব্যাশলেট।
শুধু নিহতই নয়, দীর্ঘদিন ধরে চলা সিরিয়া যুদ্ধে যারা নিখোঁজ হয়েছে, তাদেরও একটি তালিকার আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছেন মিশেল ব্যাশলেট। তিনি বলেন, এর ফলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ছাড়া তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে কাজে আসবে এ তালিকা।
আরব বসন্তের ঢেউয়ে ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ায় গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমন করতে শক্ত অবস্থান নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ। এতে এক দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধের চক্করে পড়ে যায় সিরিয়া। এর জের ধরে দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে সঙিন শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি হয়। বিগত বছরগুলোয় সিরিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ। পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে ১০ লাখের বেশি সিরীয় নাগরিক।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০ বছর পর সিরিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলের দখল এখন বাশার আল–আসাদের হাতে। বাকি অঞ্চলগুলো রয়েছে বিদ্রোহীসহ নানান বিদেশি সেনার অধীনে। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ার যুদ্ধের সমাপ্তি শিগগিরই হওয়ার লক্ষণ নেই। তাই দেশটির বাসিন্দাদের বহুদিন ধরে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।