বিদেশের খবর ডেস্ক : সিরিয়ায় যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের অবিস্ফোরিত গোলাবারুদে প্রাণ হারিয়েছে ২০০ জনের বেশি মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এসব প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ গৃহযুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর তাদের পুরনো বাড়িঘরে ফিরে আসছে। কিন্তু ১৪ বছরের সামরিক অভিযান ও বোমাবর্ষণের ফলে দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে হাজার হাজার ল্যান্ডমাইন ও অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ। সিরিয়ার প্রধান শহর ও গ্রামীণ এলাকাগুলোতে এসব বিস্ফোরক ছড়িয়ে থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনাবশত প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম ল্যান্ডমাইন দূরীকরণ সংস্থা ‘হালো ট্রাস্ট’-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬৪০ জন মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ক্ষতিগ্রস্তদের এক-তৃতীয়াংশ শিশু। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা ক্লাস্টার বোমাগুলোর আকৃতি ও রঙ দেখে এগুলো খেলনা ভেবে তুলে নেয়, ফলে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেট) মাইন অ্যাকশন প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সামি আল-মোহাম্মদ বলেন, ‘সিরিয়ার কোনো এলাকাই যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।
’ তিনি জানান, ‘এমন অনেক দেশ আছে যেখানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে ৪০ বছর আগে, তবুও তারা এখনও পুরোপুরি ল্যান্ডমাইন অপসারণ করতে পারেনি। সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও জটিল, এবং এখানে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক দশক লেগে যাবে।’ এদিকে, স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে মাইন অপসারণের কাজ করছে, তবে এই কাজ করতে গিয়েই তাদের অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন।