আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর দেরায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ছিটমহলগুলোতে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছে সরকারি বাহিনী ও তাদের সহযোগী ইরানপন্থি মিলিশিয়ারা।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবশিষ্ট এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যেই অভিযানটি শুরু করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী ও বিরোধী সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি বাহিনীগুলো তাদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোর আশপাশে জড়ো হয়ে দেরা আল বালাদ এলাকার দিকে এগিয়ে যায়।
২০১১ সালে এই এলাকাটি থেকেই আসাদ পরিবারের শাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। ওই বিক্ষোভ দমনে সরকারের প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের পর তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, পরবর্তীতে যা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
বিদ্রোহী যোদ্ধারা জানিয়েছেন, দেরা আল বালাদের পশ্চিম দিক থেকে চালানো সরকারি বাহিনীর আক্রমণ রুখে দিয়েছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও নেতারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী দুই মাস ধরে এলাকাটি অবরোধ করে রেখে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু বেসামরিকদের এলাকাটি ছাড়ার সুযোগ দিতে একটি করিডোর খোলা রেখেছে।
সিরীয় সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, অভিজাত চতুর্থ ডিভিশনের নেতৃত্বাধীন ইরানপন্থি মিলিশিয়া ইউনিটগুলোও দেরা আল বালাদ ঘিরে রেখেছে, এসব ইউনিটগুলোতে নতুন যোদ্ধারা যোগ দিয়েছে এবং তারা রাজধানী দামেস্ক থেকে জর্ডানের সীমান্ত ক্রসিংমুখি মহাসড়কে নতুন নতুন চেকপয়েন্ট বসিয়েছে।
সেনাবাহিনীর আরেকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, লড়াই অব্যাহত থাকলেও ছড়িয়ে পড়েনি। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সম্প্রতি বলেছে, সেনাবাহিনী ‘অনাচার ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ শেষ করার প্রস্তুতি নিয়ে ফের তাদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে।
জর্ডানের ও ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী প্রদেশটি রাশিয়ার বিমান শক্তি ও ইরানি মিলিশিয়াদের সহযোগিতায় বিদ্রোহীদের হটিয়ে ২০১৮ সালে ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় সিরিয়ার সেনাবাহিনী। দেরা এই প্রদেশটির রাজধানী।
সিরিয়ার দেরায় বিদ্রোহীদের ছিটমহলে সরকারি বাহিনীর অভিযান
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ