প্রত্যাশা ডেস্ক : সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের অনুসারীদের অতর্কিত হামলায় দেশটির বিদ্রোহী-নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভূমধ্যসাগরীয় শহর তারতুসের কাছাকাছি হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির অন্তর্র্বতী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী দামেস্কের কাছে কুখ্যাত সাইদনায়া কারাগারে বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, সংঘর্ষে তিনজন বিদ্রোহীও নিহত হন। সম্প্রতি আলাউয়ি উপাসকদের একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদ করে জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
কিছু আলাউয়ি অঞ্চলে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এ হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাজারে হামলার ভিডিওটি পুরনো। গত নভেম্বরের শেষে আলেপ্পোর বিদ্রোহী অভিযানের অংশ হিসেবে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে তারতুস এবং লাতাকিয়া শহরসহ আসাদের জন্মস্থান কারদাহতেও বিক্ষোভ হচ্ছে। সিরিয়ায় সংখ্যালঘু আলাওয়িত সম্প্রদায়ই আসাদ পরিবারের রাজনৈতিক ও সামরিক বাহিনীর মূল ভিত্তি হওয়ায়, সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এর মাধ্যমেই অবসান হলো সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের।
যেখানে আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদ প্রায় ৩০ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ২৪ বছর শাসন করেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর দেশে এখন ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।