সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানিও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে জেলায় এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল। সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য জেলা শহর ও পাঁচটি উপজেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে সাত লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নদীভাঙন ও নিম্নাঞ্চল এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও অ-বিতরণকৃত রয়ে গেছে এর বেশিরভাগ অংশই।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে পানি আরও কমবে। দু-একদিনের মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু রাস্তা এবং স্কুল-মাদরাসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনা নদীর পানি এ মুহূর্তে আর বাড়ার আশঙ্কা নেই। এমনকী দু-একদিনের মধ্যেই যমুনার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, জেলায় ৭২১ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। আমরা নিয়মিত বন্যাদুর্গতদের খোঁজ-খবর রাখছি।
সিরাজগঞ্জ যমুনায় কমেছে ২২ সেন্টিমিটার পানি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ