ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সিরাজগঞ্জে দুর্গত ৯০ হাজার মানুষ

  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানি মন্থরগতিতে কমছে। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দুটি পয়েন্টে তৃতীয় দফায় গত ১ জুলাই পানি বাড়তে শুরু করে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর যমুনার পানি এ পয়েন্টে বাড়ার আশঙ্কা নেই। বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ৯০ হাজার ৯৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ১০০ মেট্রিকটন চাল, পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ১২০০ মেট্রিকটন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার। তিনি আরও জানান, চলতি বন্যায় নৌকাডুবিতে দুজন ও বানের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিরাজগঞ্জে দুর্গত ৯০ হাজার মানুষ

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানি মন্থরগতিতে কমছে। ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দুটি পয়েন্টে তৃতীয় দফায় গত ১ জুলাই পানি বাড়তে শুরু করে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর যমুনার পানি এ পয়েন্টে বাড়ার আশঙ্কা নেই। বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ৯০ হাজার ৯৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ১০০ মেট্রিকটন চাল, পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ১২০০ মেট্রিকটন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার। তিনি আরও জানান, চলতি বন্যায় নৌকাডুবিতে দুজন ও বানের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।