নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা জেলার সরকারি হাসপাতালে রোগীদের সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে না দিতে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
গতকাল শনিবার দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) এ দাবি করেছেন। জিএম কাদেরজিএম কাদেরএক বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, “মহামারি করোনার উচ্চ সংক্রমণের সময় ঢাকার সিভিল সার্জন কেন গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কর্মকা-ে বাধা সৃষ্টি করতে চায়, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।
“এমন বিপর্যয়ের সময় গণমাধ্যম-কে আড়াল করা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তাই দ্রুততার সাথে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ‘তথ্য না দেয়ায় নির্দেশনা’ প্রত্যাহার করতে হবে।”
গত ৮ জুলাই ঢাকা জেলার সব থানা-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লিনিক ও মাতৃসদন কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসারদের পাঠানো চিঠিতে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে সিভিল সার্জন ছাড়া অন্য কাউকে টিভি চ্যানেল বা যে কোনো প্রিন্ট মিডিয়ার কাছে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মকা- অথবা রোগ ও রোগীদের কোনো তথ্য আদান-প্রদান, মন্তব্য না দেওয়ার না অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। পাশাপাশি রোগীর ছবি তোলা, ভিডিও করা অথবা সাক্ষাৎকার ধারণ রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের শামিল উল্লেখ করে তা থেকে বিরত থাকতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বিবৃতিতে বলেন, “মহামারি করোনাকালে শুধু সিভিল সার্জন ছাড়া ঢাকা জেলার কোন হাসপাতাল থেকে তথ্য পাবে না গণমাধ্যম কর্মীরা, এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বেমানান। অবাধ তথ্য প্রবাহ গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অপরিহার্য শর্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অবাক ও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি চব্বিশ ঘণ্টা পার হলেও ঢাকার সিভিল সার্জন এর জারি করা নির্দেশনা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
“অথচ মহামারি করোনাকালে জাতি সঠিক তথ্য জানতে গণমাধ্যমের দিকেই তাকিয়ে থাকে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখেই প্রতিটি দুঃসময়ে সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবক এবং সিভিল সোসাইটি এগিয়ে আসে। তাছাড়া, গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য না পাওয়া গেলে অনিয়ম ও দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি গুজব ও ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তার লাভ করে।