ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

সিনোভ্যাকের টিকাও অনুমোদন পেল বাংলাদেশে

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা।
সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি (ইইওইচ-ঈড়ৎঠ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পায়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া যাবে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া আগের টিকাগুলোর মতই ‘করোনা ভ্যাক’ নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এনএমপিএ গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেদেশে করোনা ভ্যাক ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। গত ১ জুন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় যুক্ত হয় সিনোভ্যাকের এই টিকা। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশ সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের তোড়জোড় শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে গত এপ্রিলের শেষ দিক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চারটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল।
চীন সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের কিছু টিকা পাওয়ার পর বাংলাদেশে তা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুৎনিক-ভি কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। সিনোভ্যাকের টিকা বাংলাদেশে কবে কীভাবে আসবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস।
টিকার মূল্য প্রকাশ, বেইজিংয়ের ক্ষোভ প্রশমিত করেছে ঢাকা : চীন থেকে দেড় কোটি সিনোফার্ম টিকার ক্রয়মূল্য প্রকাশ নিয়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয় ঢাকার। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং।
টিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। চেষ্টা চলতে থাকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে ওঠার। বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পর বিষয়টি এখন অনেকটা প্রশমিত।
চীন থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার অন্যতম শর্ত ছিল এই টিকার মূল্য প্রকাশ করা যাবে না। তবে বাংলাদেশ প্রতিডোজ টিকা ১০ ডলার করে কিনতে যাচ্ছে, এই খবর প্রকাশ হয়ে যায়। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর এই টিকার মূল্য গণমাধ্যমে চলে আসে। পরে এ নিয়ে রীতিমতো বেইজিং ক্ষুদ্ধ হয়। কেননা একই টিকা শ্রীলঙ্কার কাছে চীন ১৪ ডলার আর ইন্দোনেশিয়ার কাছে ১৭ ডলারে বিক্রি করছে। বাংলাদেশকে কম মূল্যে টিকা দেওয়ায় এসব দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বেইজিংয়ের।
টিকার মূল্য প্রকাশ হওয়ায় নাখোশ হয় চীন। পরে ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও ঢাকার চীনা দূতাবাসে চিঠি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। এদিকে চীনের টিকা আনার বিষয়ে যেসব দলিলে সই করার কথা ছিল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুরুতেই ভুল করে। টিকা আনতে চীনা ভাষার অংশে ভুল করে সই করে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে আবারও কাগজপত্র ঠিক করে পাঠানো হয়। এ নিয়ে শুরু থেকেই বিরক্ত ছিল চীন। এরই মধ্যে টিকার মূল্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় পর নতুন করে ক্ষুব্ধ হয় দেশটি।
টিকার মূল্য প্রকাশের পর ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ৫ জুন ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গণমাধ্যমের তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেন শুধু মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে! এটা বলা বাহুল্য প্রথমত, এখন পর্যন্ত সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি হয়নি।
দ্বিতীয়ত, এটি চীনা সরকার নয়, বরং এটি সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি। আর আমরা আশা করি যে, আমাদের বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা আগের (নির্ধারিত) তারিখে প্রয়োজনীয় টিকা পাবেন।
টিকার মূল্য প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে রীতিমতো দুঃখপ্রকাশ করে চীনকে প্রশমিত করতে হয়েছে। এদিকে চীন বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই ৫ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার দিয়েছে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে আরো ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এই রক্তস্রোত যেন বৃথা না যায়, ঐক্য বজায় রাখতে হবে: খালেদা জিয়া

সিনোভ্যাকের টিকাও অনুমোদন পেল বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০১:১৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা।
সিনোভ্যাকের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন ‘করোনা ভ্যাক’ নামের এ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছিল। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেই অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মোট পাঁচটি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ সরকার। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার বিবিআইবিপি-সিওরভি (ইইওইচ-ঈড়ৎঠ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পায়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া যাবে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা সংরক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া আগের টিকাগুলোর মতই ‘করোনা ভ্যাক’ নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এনএমপিএ গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেদেশে করোনা ভ্যাক ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। গত ১ জুন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় যুক্ত হয় সিনোভ্যাকের এই টিকা। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশ সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখায় অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের তোড়জোড় শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে গত এপ্রিলের শেষ দিক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চারটি টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল।
চীন সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের কিছু টিকা পাওয়ার পর বাংলাদেশে তা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুৎনিক-ভি কেনার জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। সিনোভ্যাকের টিকা বাংলাদেশে কবে কীভাবে আসবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস।
টিকার মূল্য প্রকাশ, বেইজিংয়ের ক্ষোভ প্রশমিত করেছে ঢাকা : চীন থেকে দেড় কোটি সিনোফার্ম টিকার ক্রয়মূল্য প্রকাশ নিয়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয় ঢাকার। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং।
টিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। চেষ্টা চলতে থাকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে ওঠার। বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পর বিষয়টি এখন অনেকটা প্রশমিত।
চীন থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার অন্যতম শর্ত ছিল এই টিকার মূল্য প্রকাশ করা যাবে না। তবে বাংলাদেশ প্রতিডোজ টিকা ১০ ডলার করে কিনতে যাচ্ছে, এই খবর প্রকাশ হয়ে যায়। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর এই টিকার মূল্য গণমাধ্যমে চলে আসে। পরে এ নিয়ে রীতিমতো বেইজিং ক্ষুদ্ধ হয়। কেননা একই টিকা শ্রীলঙ্কার কাছে চীন ১৪ ডলার আর ইন্দোনেশিয়ার কাছে ১৭ ডলারে বিক্রি করছে। বাংলাদেশকে কম মূল্যে টিকা দেওয়ায় এসব দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বেইজিংয়ের।
টিকার মূল্য প্রকাশ হওয়ায় নাখোশ হয় চীন। পরে ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও ঢাকার চীনা দূতাবাসে চিঠি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। এদিকে চীনের টিকা আনার বিষয়ে যেসব দলিলে সই করার কথা ছিল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুরুতেই ভুল করে। টিকা আনতে চীনা ভাষার অংশে ভুল করে সই করে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে আবারও কাগজপত্র ঠিক করে পাঠানো হয়। এ নিয়ে শুরু থেকেই বিরক্ত ছিল চীন। এরই মধ্যে টিকার মূল্য প্রকাশ হয়ে পড়ায় পর নতুন করে ক্ষুব্ধ হয় দেশটি।
টিকার মূল্য প্রকাশের পর ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ৫ জুন ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গণমাধ্যমের তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেন শুধু মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে! এটা বলা বাহুল্য প্রথমত, এখন পর্যন্ত সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি হয়নি।
দ্বিতীয়ত, এটি চীনা সরকার নয়, বরং এটি সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি। আর আমরা আশা করি যে, আমাদের বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা আগের (নির্ধারিত) তারিখে প্রয়োজনীয় টিকা পাবেন।
টিকার মূল্য প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে রীতিমতো দুঃখপ্রকাশ করে চীনকে প্রশমিত করতে হয়েছে। এদিকে চীন বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই ৫ লাখ সিনোফার্ম টিকা উপহার দিয়েছে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে আরো ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন।