ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

সিনেমা হল এখন খাবার হোটেল

  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : দেশীয় চলচ্চিত্রের বাজারে ধস নেমেছে বহু আগেই। এখন ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই ইন্ডাস্ট্রি। কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সিনেমা হলগুলো। একসময়ে যেসব সিনেমা হল দেশজুড়ে জৌলুস ছড়াত, সেসব সিনেমা হল ধুঁকতে ধুঁকতে একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের সর্বশেষ ও বৃহৎ সিনেমা হল উত্তরা টকিজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি একেবারের ভেঙে ফেলা হয়। পুরো সিনেমা হল ভাঙলেও মেশিনঘরটি এখনো অক্ষত রয়েছে। অক্ষত রয়েছে নিচতলার প্রবেশদ্বার ও টিকিট কাউন্টার। সামনের এই অংশটি এখন খাবারের হোটেল হিসেবে চলছে। সিনেমা হলের নাম অনুসারে এর নামও দেওয়া হয়েছে উত্তরা হোটেল। মূল মালিকরা নন, একজন নারী জায়গাটি ভাড়া নিয়ে এই রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। একসময় যখন মানুষ টিকিট কেনার জন্য লাইন ধরত, গলগম করত হল-বারান্দা, সেই জায়গাটি কালের পরিবর্তনে এখন খাবার হোটেল। ১৯৮৫ সালে পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় উত্তরা টকিজ নামে এই সিনেমা হলটি। একসময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াত শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলা থেকেও ছবি উপভোগের জন্য দর্শকের সমাগম ঘটত হলটিতে।
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারপরিজন নিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখার কদর ছিল বছর কয়েক আগেও। সাধারণ দর্শকের ভিড় ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার উৎসব ছিল কাউন্টারের সামনে । অনেকে অগ্রিম টিকিট বুক করত কাউন্টার থেকে। ঘাম ঝরিয়ে টিকিট কাটা কষ্টসাধ্য হলেও ভালো ছবি উপভোগ করে তা পুষিয়ে নিত দর্শক। উত্তরা টকিজ ছাড়াও পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন সিনেমা ও সাগর টকিজ নামের দুটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাই ছিল পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল। সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এই সিনেমা হলের কারণেই পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত যে রাস্তাটি হয়েছিল, সেটির নাম ছিল সিনেমা রোড। জনসমাগম না থাকায় সিনেমা হল রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সাধারণ দোকানপাটের ক্রয়-বিক্রয়েও ভাটা পড়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিনেমা হল এখন খাবার হোটেল

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

বিনোদন প্রতিবেদক : দেশীয় চলচ্চিত্রের বাজারে ধস নেমেছে বহু আগেই। এখন ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই ইন্ডাস্ট্রি। কোনোভাবেই টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সিনেমা হলগুলো। একসময়ে যেসব সিনেমা হল দেশজুড়ে জৌলুস ছড়াত, সেসব সিনেমা হল ধুঁকতে ধুঁকতে একেবারে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের সর্বশেষ ও বৃহৎ সিনেমা হল উত্তরা টকিজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সেটি একেবারের ভেঙে ফেলা হয়। পুরো সিনেমা হল ভাঙলেও মেশিনঘরটি এখনো অক্ষত রয়েছে। অক্ষত রয়েছে নিচতলার প্রবেশদ্বার ও টিকিট কাউন্টার। সামনের এই অংশটি এখন খাবারের হোটেল হিসেবে চলছে। সিনেমা হলের নাম অনুসারে এর নামও দেওয়া হয়েছে উত্তরা হোটেল। মূল মালিকরা নন, একজন নারী জায়গাটি ভাড়া নিয়ে এই রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। একসময় যখন মানুষ টিকিট কেনার জন্য লাইন ধরত, গলগম করত হল-বারান্দা, সেই জায়গাটি কালের পরিবর্তনে এখন খাবার হোটেল। ১৯৮৫ সালে পার্বতীপুর পৌর শহরের নতুন বাজারে যৌথ মালিকানায় নির্মাণ করা হয় উত্তরা টকিজ নামে এই সিনেমা হলটি। একসময় সিনেমা হলটি ছবি প্রদর্শনে জৌলুস ছড়াত শহর থেকে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত। পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ ও চিরিরবন্দর উপজেলা থেকেও ছবি উপভোগের জন্য দর্শকের সমাগম ঘটত হলটিতে।
আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারপরিজন নিয়ে সিনেমা হলে ছবি দেখার কদর ছিল বছর কয়েক আগেও। সাধারণ দর্শকের ভিড় ছিল। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার উৎসব ছিল কাউন্টারের সামনে । অনেকে অগ্রিম টিকিট বুক করত কাউন্টার থেকে। ঘাম ঝরিয়ে টিকিট কাটা কষ্টসাধ্য হলেও ভালো ছবি উপভোগ করে তা পুষিয়ে নিত দর্শক। উত্তরা টকিজ ছাড়াও পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন সিনেমা ও সাগর টকিজ নামের দুটি সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তরাই ছিল পার্বতীপুরের একমাত্র সিনেমা হল। সেটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। এই সিনেমা হলের কারণেই পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত যে রাস্তাটি হয়েছিল, সেটির নাম ছিল সিনেমা রোড। জনসমাগম না থাকায় সিনেমা হল রোডের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সাধারণ দোকানপাটের ক্রয়-বিক্রয়েও ভাটা পড়েছে।