সিটি ইউনিভার্সিটির প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ‘ব্রিজিং কালচারস : অ্যাডভান্সড ডিসকোর্সেস ইন ট্রান্সলেশন, কালচার অ্যান্ড কম্পারেটিভ লিটারেচার’ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। ৯ ও ১০ নভেম্বর সিটি ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে, ইংরেজি বিভাগ ও আইডিয়াস : এন ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ লিটারেচার, আর্টস, সায়েন্স, অ্যান্ড কালচার এর সমন্বিত উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই কনফারেন্স। কনফারেন্সটি একাডেমিয়া জগতের একটি মাইলফলক, যেখানে ট্রান্সলেশন ও কম্পারেটিভ লিটারেচার নিয়ে বিষদ জানা ও গবেষণা করা বিশ্বের বিভিন্ন স্কলার ও গবেষকরা একত্র হয়েছিলেন।
প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর ড. এমডি লুতফর রহমান। কনফারেন্সের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সুসান ব্যাসনেট। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ট্রান্সলেশন স্টাডিজ এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে তিনি মূল বক্তৃতা দিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. খালিকুজ্জামান ইলিয়াস এবং অধ্যাপক ড. ফকরুল আলমের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ প্রধান বক্তা হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক ইলিয়াসের উপস্থাপনায় ‘ট্রান্সলেশন স্টাডিজ এজ অ্যা ক্রিয়েটিভ এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘অন ট্রান্সলেটিং গীতাঞ্জলি অ্যান্ড ব্রিজিং কালচার থ্রু ট্রান্সলেশন’ বিষয়ে অধ্যাপক ফকরুল আলমের বক্তৃতা সমসাময়িক ইংরেজি পাঠক্রম, ট্রান্সলেশন, কম্প্যারেটিভ লিটারেচারের ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করে।
এই অনুষ্ঠানে আরো সম্মানিত বক্তাদের অবদান ছিল; যার মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম, অধ্যাপক আহমেদ রেজা, অধ্যাপক ড. শামসাদ মর্তুজা, অধ্যাপক ড আবদুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক ড. এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মাশরুর শহীদ হোসেন, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালী, প্রফেসর ড. লাইজু নাসরিন, এবং অন্যান্য শিক্ষাবিদ যেমন প্রফেসর ড. মাসুদ ইমরান মান্নু, ড. নিতাই সাহা, প্রফেসর ড. শামীম রেজা, অধ্যাপক ড. রোকসানা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সুমন সাজ্জাদ, ড. মহসিন রেজা, মিস শাহনাজ পারভিন, ড. কে শংকর, মিস নুসরাত আমিন ও ড. গুরপ্রীত কৌর, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন এবং প্লেনারি সেশনে কালচার, কম্পারেটিভ স্টাডিজ, ও ট্রান্সলেশনের ওপর তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেন। প্রত্যেকেই অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ দক্ষতার সাথে আলোচনা করেছেন; যা কনফারেন্সকে আরো বৈচিত্র্যময় ও উদ্দীপ্ত করেছে।
ওই কনফারেন্স বিশ্বজুড়ে শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অনুবাদকদের নজর কেড়েছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিময় ও নতুনত্বকে মেনে নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছিল। কনফারেন্সের প্যারালাল সেশনে ৮০ জনেরও বেশি গবেষক অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের বিভিন্ন গবেষণা উপস্থাপন করেছেন এবং ট্রান্সলেশন ও কম্পারেটিভ স্টাডিসের বিভিন্ন নতুন ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনাগুলো বাংলাদেশ ও অন্যান্য পোস্টকলোনিয়াল প্রেক্ষাপটে, সাহিত্য ধারার আন্তঃসাংস্কৃতিক প্রভাব এবং তুলনামূলক পদ্ধতির আন্তঃবিভাগীয় সম্ভাবনায় ট্রান্সলেশনের ভূমিকা তুলে ধরে।
কনফারেন্সের আহ্বায়ক ড. রহমান ম. মাহবুব সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, কোষাধ্যক্ষ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানের ডিন, অনুষদ সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক এবং যারা অবদানে কনফারেন্সটি সফল হয়েছে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই কনফারেন্স বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে ট্রান্সলেশন স্টাডিজ এবং কম্পারেটিভ লিটারেচারের শিক্ষাবিদ্যায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ