ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

সাড়ে ৩ কোটি কিশোরের কাছে পৌঁছাবে শেখ রাসেলের গল্প

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত, প্রাণবন্ত, নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যে আসছে ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মত জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ দিবসের পরিকল্পনা তুলে ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “শেখ রাসেল দিবসে দেশের সাড়ে ৩ কোটি কিশোর-কিশোরীর কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা; তার যে দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প, সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই।
শেখ রাসেল দিবসের কর্মসূচি জানাতে গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একদিকে যেমন শেখ রাসেলকে স্মরণ করতে চাই, তেমনি দেশের প্রতিটি শিশু-কিশোরকে নির্মল শৈশব উপহার দিতে চাই। নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে তারা কোনোদিন সাম্প্রদায়িক আদর্শে প্রভাবিত না হয়। যাতে তারা প্রগতিশীল, উদার, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।”
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অন্য দেশকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উপদেশ-পরামর্শ দেয় তারা। অথচ কি নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকা-– সেই হত্যাকারীদের যে দেশ যে সরকার আশ্রয় দেয়, তাদের কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক মনে করা যায়?
“১০ বছরের কোমল শিশু রাসেল নির্ভীকভাবে খুনিদের সামনে দাঁড়িয়েছিল। তা পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দিবসটি আমরা উদযাপন করব।” ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ১১ বছরের শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলও রেহাই দেয়নি তারা। তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মসূচি : শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৬ অক্টোবর রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করবে। ১৮ অক্টোবর সকালে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হবে শোভাযাত্রা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা আয়োজন থাকবে দিবসটি উপলক্ষে। ১৮ অক্টোবর সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসের মূল অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল পদক বিতরণ হবে। একই স্থানে দুপুরে হবে ‘শেখ রাসেলে নির্মম হত্যাকা-: ন্যায়বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। এছাড়া শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ হাজার নতুন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০টি ‘শেখ রাসেল স্কুল অফ ফিউচার’ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাড়ে ৩ কোটি কিশোরের কাছে পৌঁছাবে শেখ রাসেলের গল্প

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত, প্রাণবন্ত, নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যে আসছে ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়বারের মত জাতীয়ভাবে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ দিবসের পরিকল্পনা তুলে ধরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “শেখ রাসেল দিবসে দেশের সাড়ে ৩ কোটি কিশোর-কিশোরীর কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা; তার যে দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প, সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই।
শেখ রাসেল দিবসের কর্মসূচি জানাতে গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একদিকে যেমন শেখ রাসেলকে স্মরণ করতে চাই, তেমনি দেশের প্রতিটি শিশু-কিশোরকে নির্মল শৈশব উপহার দিতে চাই। নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে তারা কোনোদিন সাম্প্রদায়িক আদর্শে প্রভাবিত না হয়। যাতে তারা প্রগতিশীল, উদার, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে।”
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অন্য দেশকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উপদেশ-পরামর্শ দেয় তারা। অথচ কি নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকা-– সেই হত্যাকারীদের যে দেশ যে সরকার আশ্রয় দেয়, তাদের কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক মনে করা যায়?
“১০ বছরের কোমল শিশু রাসেল নির্ভীকভাবে খুনিদের সামনে দাঁড়িয়েছিল। তা পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে দিবসটি আমরা উদযাপন করব।” ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ১১ বছরের শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলও রেহাই দেয়নি তারা। তখন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
কর্মসূচি : শেখ রাসেল জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৬ অক্টোবর রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করবে। ১৮ অক্টোবর সকালে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হবে শোভাযাত্রা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা আয়োজন থাকবে দিবসটি উপলক্ষে। ১৮ অক্টোবর সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসের মূল অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল পদক বিতরণ হবে। একই স্থানে দুপুরে হবে ‘শেখ রাসেলে নির্মম হত্যাকা-: ন্যায়বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। এছাড়া শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ হাজার নতুন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ৩০০টি ‘শেখ রাসেল স্কুল অফ ফিউচার’ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।