ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

সাহিত্যে নোবেল জয়ী দক্ষিণ কোরীয় লেখক হান ক্যাং

  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতিমান লেখক হান ক্যাং। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তার তীব্র কাব্যিক গদ্যের জন্য, যা ঐতিহাসিক ট্রমাগুলোর মুখোমুখি হয় এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতাকে উন্মোচন করে। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গাংজু শহরে জন্মগ্রহণ করেন হান ক্যাং। ৯ বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। তার সাহিত্যিক পরিবারের পটভূমি থেকে তিনি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। হান ক্যাংয়ের বাবা একজন সুপরিচিত উপন্যাসিক ছিলেন। সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি চিত্রকলা ও সঙ্গীতেও পারদর্শী, যা তার সমগ্র সাহিত্যকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে। হান ক্যাং এর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন, বিশেষ করে তার উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর জন্য। এটি ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ জয় করে। তার সাহিত্যিক কাজগুলোতে তিনি মানবিক দুর্দশা, যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং স্মৃতির গভীর জটিলতাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছেন। হান ক্যাং-এর গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর মাধ্যমে। এটি তিনটি অংশে রচিত। নোবেল কমিটি বলেছে, তার কাজের বৈশিষ্ট্য হলো ব্যথার দ্বৈত প্রকাশ, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে একটি সাদৃশ্য, যা প্রাচ্য চিন্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ২০২৩ সালের পুরস্কারটি নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার জন ফসেকে প্রদান করা হয়েছিল। তিনি তার উদ্ভাবনী নাটক ও গদ্যের জন্য সম্মানিত হয়েছিলেন। যা অব্যক্ত অনুভূতিগুলোকে কণ্ঠ দেয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের প্রাধান্য ছিল। মাত্র ১৭ জন নারী এই সম্মান পেয়েছেন। সর্বশেষ নারী বিজয়ী ছিলেন ফ্রান্সের আনি আর্নো, যিনি ২০২২ সালে এই পুরস্কার অর্জন করেন। এর আগে, প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলোর বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন, ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেওয়া হয়।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাহিত্যে নোবেল জয়ী দক্ষিণ কোরীয় লেখক হান ক্যাং

আপডেট সময় : ০৮:৪২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : ২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতিমান লেখক হান ক্যাং। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, হান ক্যাংকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তার তীব্র কাব্যিক গদ্যের জন্য, যা ঐতিহাসিক ট্রমাগুলোর মুখোমুখি হয় এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতাকে উন্মোচন করে। ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গাংজু শহরে জন্মগ্রহণ করেন হান ক্যাং। ৯ বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। তার সাহিত্যিক পরিবারের পটভূমি থেকে তিনি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। হান ক্যাংয়ের বাবা একজন সুপরিচিত উপন্যাসিক ছিলেন। সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি চিত্রকলা ও সঙ্গীতেও পারদর্শী, যা তার সমগ্র সাহিত্যকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে। হান ক্যাং এর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন, বিশেষ করে তার উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর জন্য। এটি ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ জয় করে। তার সাহিত্যিক কাজগুলোতে তিনি মানবিক দুর্দশা, যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং স্মৃতির গভীর জটিলতাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছেন। হান ক্যাং-এর গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ এর মাধ্যমে। এটি তিনটি অংশে রচিত। নোবেল কমিটি বলেছে, তার কাজের বৈশিষ্ট্য হলো ব্যথার দ্বৈত প্রকাশ, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে একটি সাদৃশ্য, যা প্রাচ্য চিন্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। ২০২৩ সালের পুরস্কারটি নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার জন ফসেকে প্রদান করা হয়েছিল। তিনি তার উদ্ভাবনী নাটক ও গদ্যের জন্য সম্মানিত হয়েছিলেন। যা অব্যক্ত অনুভূতিগুলোকে কণ্ঠ দেয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের প্রাধান্য ছিল। মাত্র ১৭ জন নারী এই সম্মান পেয়েছেন। সর্বশেষ নারী বিজয়ী ছিলেন ফ্রান্সের আনি আর্নো, যিনি ২০২২ সালে এই পুরস্কার অর্জন করেন। এর আগে, প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলোর বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন, ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেওয়া হয়।