ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারে মেনথল মডেল

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত সামাজিক বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতা এবং অন্যান্য প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় বলে একটি গবেষণাপত্রে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ জার্নালে প্রকাশ হওয়া গবেষণাপত্রে সুচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন পুতুল লেখেন, ‘অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মা শুধুমাত্র শিশুকে লালন-পালনের চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করে না বরং প্রতিনিয়ত সামাজিক বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতা এবং অন্যান্য প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়। তাদের মানসিক সুস্থতার জন্য কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা এখনো একটি অবহেলিত বিষয়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্যানেলের সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই গবেষণাপত্রটির একজন লেখক।
তিনি লিখেছেন, মেনথল গবেষণাটি আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে প্রদান করা যেতে পারে। এবং কিভাবে একটি বিশেষায়িত সেবায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে সেবাটিকে কার্যকর করা যায়।
আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গবেষণায় স্বল্প খরচে স্কুলভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মায়েদের বিষন্নতার অবস্থা পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে।
গবেষণার ফলাফল এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘এটা আনন্দের যে আমরা একটি সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা মডেল খুঁজে পেয়েছি। এই মডেলে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বড় পরিসরে সহজে প্রয়োগ করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে৷ বাংলাদেশের যেখানেই অটিজম সেবার সুযোগ রয়েছে সেখানেই দ্রুততম সময়ে মেনথল সার্ভিস মডেলটি যুক্ত করার জন্য সুপারিশ করবো।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার কাজটি এখনই শুরু করা উচিৎ। এছাড়া স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও বরাদ্দ রাখার জন্য যেন আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবায় মেনথল সার্ভিস মডেলটি যুক্ত করে নিতে পারি এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগনের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সহজে পৌঁছে দেওয়া সহজতর হবে।’
উল্লেখ্য, আইসিডিডিআরবির সায়েন্টিস্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর ননকমিউনিকেবল ডিজিজেসের হেড ড. আলিয়া নাহিদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন চিলড্রেন্স অ্যান্ড হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল (এইচএমএস), ইউএসএ, সুচনা ফাউন্ডেশন, ইন্সটিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসরডার এন্ড অটিজম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হসপিটাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল এর সহযোগিতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারে মেনথল মডেল

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত সামাজিক বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতা এবং অন্যান্য প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় বলে একটি গবেষণাপত্রে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ জার্নালে প্রকাশ হওয়া গবেষণাপত্রে সুচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন পুতুল লেখেন, ‘অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মা শুধুমাত্র শিশুকে লালন-পালনের চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করে না বরং প্রতিনিয়ত সামাজিক বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতা এবং অন্যান্য প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়। তাদের মানসিক সুস্থতার জন্য কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা এখনো একটি অবহেলিত বিষয়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্যানেলের সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই গবেষণাপত্রটির একজন লেখক।
তিনি লিখেছেন, মেনথল গবেষণাটি আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে প্রদান করা যেতে পারে। এবং কিভাবে একটি বিশেষায়িত সেবায় সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে সেবাটিকে কার্যকর করা যায়।
আইসিডিডিআরবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গবেষণায় স্বল্প খরচে স্কুলভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মায়েদের বিষন্নতার অবস্থা পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে।
গবেষণার ফলাফল এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. আলিয়া নাহিদ বলেন, ‘এটা আনন্দের যে আমরা একটি সাশ্রয়ী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা মডেল খুঁজে পেয়েছি। এই মডেলে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে বড় পরিসরে সহজে প্রয়োগ করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে৷ বাংলাদেশের যেখানেই অটিজম সেবার সুযোগ রয়েছে সেখানেই দ্রুততম সময়ে মেনথল সার্ভিস মডেলটি যুক্ত করার জন্য সুপারিশ করবো।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার কাজটি এখনই শুরু করা উচিৎ। এছাড়া স্বাস্থ্য গবেষণায় আরও বরাদ্দ রাখার জন্য যেন আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবায় মেনথল সার্ভিস মডেলটি যুক্ত করে নিতে পারি এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগনের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সহজে পৌঁছে দেওয়া সহজতর হবে।’
উল্লেখ্য, আইসিডিডিআরবির সায়েন্টিস্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর ননকমিউনিকেবল ডিজিজেসের হেড ড. আলিয়া নাহিদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন চিলড্রেন্স অ্যান্ড হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল (এইচএমএস), ইউএসএ, সুচনা ফাউন্ডেশন, ইন্সটিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসরডার এন্ড অটিজম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হসপিটাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটাল এর সহযোগিতায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়।