ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

সালমান শাহ’র মৃত্যুর ২৫ বছর

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা সিনেমার ইতিহাসে যার নামটি স্বর্ণ অক্ষরে লেখা, তিনি সালমান শাহ। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিনটি শোকের ও হতাশার। ১৯৯৬ সালের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ক্ষণজন্মা এই চিত্রনায়ক পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সালমান শাহ’র ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দেশীয় সিনেমায় ধূমকেতু হয়েই যেন ধরা দিয়েছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। একই সিনেমায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা মৌসুমীরও। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে প্রথম সিনেমাতেই সাফল্যের দেখা পান সালমান শাহ। তার চলন-বলন ও পোশাক-পরিচ্ছদ তরুণদের মন জয় করে নেয়। নায়ক সালমান ও ব্যক্তি সালমান দুইটিই জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্পর্শ করে।
সালমান শাহ ক্যারিয়ারের শুরুতে কাজ করেছেন ছোট পর্দায়। ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে নাটকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রচুর বিজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (বিপরীতে মৌসুমী), তুমি আমার (শাবনূর), অন্তরে অন্তরে (মৌসুমী), কন্যাদান (লিমা), জীবন সংসার (শাবনূর), চাওয়া থেকে পাওয়া (শাবনূর), সুজন সখী (শাবনূর), বুকের ভেতর আগুন (শাবনূর), এই ঘর এই সংসার (বৃষ্টি), স্নেহ (মৌসুমী), বিচার হবে (শাবনূর), প্রেমযুদ্ধ (লিমা), মহা মিলন (শাবনূর), তোমাকে চাই (শাবনূর), বিক্ষোভ (শাবনূর), আশা ভালোবাসা (শাবনাজ), মায়ের অধিকার (শাবনাজ), আঞ্জুমান (শাবনাজ), আনন্দ অশ্রু (শাবনূর), প্রেম পিয়াসী (শাবনূর), সত্যের মৃত্যু নেই (শাহনাজ), প্রিয়জন (শিল্পী), শুধু তুমি (শ্যামা), স্বপ্নের পৃথিবী (শাবনূর), স্বপ্নের নায়ক (শাবনূর), দেন মোহর (শাবনূর) ও স্বপ্নের ঠিকানা (শাবনূর)। ‘বুকের ভেতর আগুন’ ছিল সালমান অভিনীত শেষ সিনেমা। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন শাবনূর। মাত্র তিন বছর বড় পর্দায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন সালমান শাহ। এই অল্প সময়েই তিনি দর্শকদের হৃদয় জয় করে একের পর এক উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। অভিনয় করেছেন মোট ২৭টি সিনেমায়। ১৯৯৬ সালে নিজ ঘরে সালমান শাহ’কে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের একাধিক রিপোর্টে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।
প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র স্মরণে গতকাল ফেসবুক ছিল সালমানময়। ভক্তরা প্রিয় নায়ককে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ছবি আর স্ট্যাটাস পোস্ট করে। সালমান শাহকে স্মরণ করছেন ঢালিউডের নায়কেরাও। বর্তমান সময়ে ঢালিউড কিং শাকিব খান তার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শিল্পীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা ভুলতে শুরু করেন। তবে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ক্ষেত্রে সেটা একেবারে বিপরীত! অকালে চলে যাওয়ার ২৫ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী। ৯০ এর দশকে চলচ্চিত্রে সালমান শাহর আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল। ভক্তদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মানুষরাও তার স্মৃতিগুলো এখনও লালন করেন। তাই আমার কাছে সালমান শাহ হলেন ভাটির আগে উজানের ঢেউ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র মাধ্যমটি আরও বর্ণিল করতে পারতেন। শিল্পীর ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। অনুপ্রেরণা থেকে শিল্পীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। সালমান শাহর অভিনয় দেখে, তার সিনেমা দেখে আমারও সেই অনুপ্রেরণা হতো! একটা প্রজন্মের কাছে আইডলে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ নামের সেই পরশ পাথর, যার ছোঁয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রে বিপ্লব ঘটেছিল।’
অভিনেতা আরিফিন শুভ তার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সালমান শাহ’র একটি ছবি পোস্ট দেন। তিনি তার অনুভুতি লেখেন, ‘এখনও তোমাকে মিস করি, আমার রাজা’। সিনেমাপাড়া সবাই অভিনেতা সিয়াম আহমেদ নায়ক সালমান শাহর একজন ভক্ত হিসেবে জানেন। তার প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন-২’-তেও তিনি সালমানের এক অন্ধ ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রিয় নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল বদলেছেন সালমানের ছবি দিয়ে। অভিনেতা নিরব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৯০ দশকে আপনি চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হ্যালির ধূমকেতুর মতো! সিনেমাতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পর্দায় পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরণ, অভিনয় দক্ষতা সবকিছু মিলিয়ে একজন দর্শক হিসেবে আমার মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি। মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও বাংলা সিনেমার সর্বসেরা ‘রোমান্টিক হিরো’দের তালিকায় আপনার স্থান উপরে।’ তিনি আরও স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘স্পষ্ট মনে পড়ে রাজবাড়ীর পাংশার নূপুর সিনেমা হলে জীবনে প্রথম আপনার ‘জীবন সংসার’ সিনেমা দেখেছিলাম। পর্দায় আপনাকে দেখে নায়ক হওয়ার ইচ্ছে সেদিনই প্রথম জেগেছিল। আহ কী সেই নায়ক, কী তার অভিনয়, কী তার স্টাইল।’
নায়ক বাপ্পী চৌধুরী লেখেন, ‘সালমান শাহ; একটি ভরসার নাম, একটি দীর্ঘশ্বাসের নাম। ২৫টি বছর পেরিয়ে গেছে তিনি নেই। আসলেই কি নেই? তার স্টাইল, কথা-বার্তা, চলন, হাসি, রুচিবোধ সবকিছুতেই যেনো রাজত্বের ছাপ। এফডিসিতে যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা সবাই বলেন, মানুষ হিসেবেও তার তুলনা তিনি নিজেই। প্রিয় মানুষ নিয়ে বেশি লেখা যায় না; শব্দগুলো দীর্ঘশ্বাসের মতন কেমন যেনো ভারী হয়ে আসছে। তবে এই মুহুর্তে একটি গানের কথা বেশ মনে পড়ছে, ‘ভালো আছি, ভালো থেকো। আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।’ তাকে উদ্দেশ্য করে আমার এই ভালোবাসাও আকাশের পানে ছুঁড়ে দিলাম। তাই বলছি, প্রিয় সালমান শাহ; যেখানেই থাকুন, আমাদের ভালোবাসা নেবেন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সালমান শাহ’র মৃত্যুর ২৫ বছর

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলা সিনেমার ইতিহাসে যার নামটি স্বর্ণ অক্ষরে লেখা, তিনি সালমান শাহ। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর দিনটি শোকের ও হতাশার। ১৯৯৬ সালের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ক্ষণজন্মা এই চিত্রনায়ক পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। গতকাল সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সালমান শাহ’র ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ছিল শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দেশীয় সিনেমায় ধূমকেতু হয়েই যেন ধরা দিয়েছিলেন সালমান শাহ। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন তিনি। একই সিনেমায় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়িকা মৌসুমীরও। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে প্রথম সিনেমাতেই সাফল্যের দেখা পান সালমান শাহ। তার চলন-বলন ও পোশাক-পরিচ্ছদ তরুণদের মন জয় করে নেয়। নায়ক সালমান ও ব্যক্তি সালমান দুইটিই জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্পর্শ করে।
সালমান শাহ ক্যারিয়ারের শুরুতে কাজ করেছেন ছোট পর্দায়। ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে নাটকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রচুর বিজ্ঞাপনও করেছেন তিনি। সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো- কেয়ামত থেকে কেয়ামত (বিপরীতে মৌসুমী), তুমি আমার (শাবনূর), অন্তরে অন্তরে (মৌসুমী), কন্যাদান (লিমা), জীবন সংসার (শাবনূর), চাওয়া থেকে পাওয়া (শাবনূর), সুজন সখী (শাবনূর), বুকের ভেতর আগুন (শাবনূর), এই ঘর এই সংসার (বৃষ্টি), স্নেহ (মৌসুমী), বিচার হবে (শাবনূর), প্রেমযুদ্ধ (লিমা), মহা মিলন (শাবনূর), তোমাকে চাই (শাবনূর), বিক্ষোভ (শাবনূর), আশা ভালোবাসা (শাবনাজ), মায়ের অধিকার (শাবনাজ), আঞ্জুমান (শাবনাজ), আনন্দ অশ্রু (শাবনূর), প্রেম পিয়াসী (শাবনূর), সত্যের মৃত্যু নেই (শাহনাজ), প্রিয়জন (শিল্পী), শুধু তুমি (শ্যামা), স্বপ্নের পৃথিবী (শাবনূর), স্বপ্নের নায়ক (শাবনূর), দেন মোহর (শাবনূর) ও স্বপ্নের ঠিকানা (শাবনূর)। ‘বুকের ভেতর আগুন’ ছিল সালমান অভিনীত শেষ সিনেমা। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন শাবনূর। মাত্র তিন বছর বড় পর্দায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন সালমান শাহ। এই অল্প সময়েই তিনি দর্শকদের হৃদয় জয় করে একের পর এক উপহার দিয়েছেন সুপারহিট সিনেমা। অভিনয় করেছেন মোট ২৭টি সিনেমায়। ১৯৯৬ সালে নিজ ঘরে সালমান শাহ’কে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশের একাধিক রিপোর্টে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী।
প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র স্মরণে গতকাল ফেসবুক ছিল সালমানময়। ভক্তরা প্রিয় নায়ককে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ছবি আর স্ট্যাটাস পোস্ট করে। সালমান শাহকে স্মরণ করছেন ঢালিউডের নায়কেরাও। বর্তমান সময়ে ঢালিউড কিং শাকিব খান তার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শিল্পীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা ভুলতে শুরু করেন। তবে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ক্ষেত্রে সেটা একেবারে বিপরীত! অকালে চলে যাওয়ার ২৫ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী। ৯০ এর দশকে চলচ্চিত্রে সালমান শাহর আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল। ভক্তদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মানুষরাও তার স্মৃতিগুলো এখনও লালন করেন। তাই আমার কাছে সালমান শাহ হলেন ভাটির আগে উজানের ঢেউ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র মাধ্যমটি আরও বর্ণিল করতে পারতেন। শিল্পীর ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। অনুপ্রেরণা থেকে শিল্পীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। সালমান শাহর অভিনয় দেখে, তার সিনেমা দেখে আমারও সেই অনুপ্রেরণা হতো! একটা প্রজন্মের কাছে আইডলে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ নামের সেই পরশ পাথর, যার ছোঁয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রে বিপ্লব ঘটেছিল।’
অভিনেতা আরিফিন শুভ তার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সালমান শাহ’র একটি ছবি পোস্ট দেন। তিনি তার অনুভুতি লেখেন, ‘এখনও তোমাকে মিস করি, আমার রাজা’। সিনেমাপাড়া সবাই অভিনেতা সিয়াম আহমেদ নায়ক সালমান শাহর একজন ভক্ত হিসেবে জানেন। তার প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন-২’-তেও তিনি সালমানের এক অন্ধ ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রিয় নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল বদলেছেন সালমানের ছবি দিয়ে। অভিনেতা নিরব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৯০ দশকে আপনি চলচ্চিত্রে এসেছিলেন হ্যালির ধূমকেতুর মতো! সিনেমাতে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। পর্দায় পোশাক-পরিচ্ছেদ, সংলাপ বলার ধরণ, অভিনয় দক্ষতা সবকিছু মিলিয়ে একজন দর্শক হিসেবে আমার মনে স্থান করে নিতে সময় লাগেনি। মৃত্যুর ২৫ বছর পরেও বাংলা সিনেমার সর্বসেরা ‘রোমান্টিক হিরো’দের তালিকায় আপনার স্থান উপরে।’ তিনি আরও স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘স্পষ্ট মনে পড়ে রাজবাড়ীর পাংশার নূপুর সিনেমা হলে জীবনে প্রথম আপনার ‘জীবন সংসার’ সিনেমা দেখেছিলাম। পর্দায় আপনাকে দেখে নায়ক হওয়ার ইচ্ছে সেদিনই প্রথম জেগেছিল। আহ কী সেই নায়ক, কী তার অভিনয়, কী তার স্টাইল।’
নায়ক বাপ্পী চৌধুরী লেখেন, ‘সালমান শাহ; একটি ভরসার নাম, একটি দীর্ঘশ্বাসের নাম। ২৫টি বছর পেরিয়ে গেছে তিনি নেই। আসলেই কি নেই? তার স্টাইল, কথা-বার্তা, চলন, হাসি, রুচিবোধ সবকিছুতেই যেনো রাজত্বের ছাপ। এফডিসিতে যারা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা সবাই বলেন, মানুষ হিসেবেও তার তুলনা তিনি নিজেই। প্রিয় মানুষ নিয়ে বেশি লেখা যায় না; শব্দগুলো দীর্ঘশ্বাসের মতন কেমন যেনো ভারী হয়ে আসছে। তবে এই মুহুর্তে একটি গানের কথা বেশ মনে পড়ছে, ‘ভালো আছি, ভালো থেকো। আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।’ তাকে উদ্দেশ্য করে আমার এই ভালোবাসাও আকাশের পানে ছুঁড়ে দিলাম। তাই বলছি, প্রিয় সালমান শাহ; যেখানেই থাকুন, আমাদের ভালোবাসা নেবেন।’