ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

সালমান রুশদি বেঁচে যাবেন, ভাবেননি হামলাকারী

  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত সপ্তাহে হামলার শিকার হয়েছেন ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। নিউ জার্সিতে বেড়ে ওঠা হাদি মাতার নামে এক তরুণ তাকে ছুরি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। যদিও এরই মধ্যে হাদি মাতার গ্রেফতার হয়েছেন। এ বিষয়ে কারাগার থেকে নিউইয়র্ক পোস্টকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হামলাকারী। হাদি মাতার বলেন, হামলার পর যখন জানতে পারলাম তিনি (সালমান রুশদি) বেঁচে আছেন তখন হতবাক হয়েছি। তাছাড়া খামেনিকে (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা) শ্রদ্ধা করার কথাও জানান তিনি। হামলাকারী বলেন, আয়াতুল্লাহ খামেনিকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি মনে করি সে একজন মহান ব্যক্তি। রুশদির বিতর্কিত বইটির মাত্র দুইটি পৃষ্ঠা পড়ার কথাও জানান হাদি। হাদি বলেছেন, খামেনির দেওয়া কোনো ফতোয়া হামলা করতে তাকে প্ররোচিত করেনি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি রুশদি সম্পর্কে বলেন, তাকে আমি খুব বেশি পছন্দ করি না। তিনি ইসলামের ওপর হামলা করেছেন। তিনি মুসলিমদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ বই স্যাটানিক ভার্সেস হলো সবচেয়ে বিতর্কিত কাজ যা তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজিরবিহীন বিপদে ফেলে দেয়। বইটি প্রকাশের পর হত্যার হুমকি আসে, যা তাকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করে। ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসে। ১৯৮৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদ- ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সালমান রুশদি বেঁচে যাবেন, ভাবেননি হামলাকারী

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত সপ্তাহে হামলার শিকার হয়েছেন ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। নিউ জার্সিতে বেড়ে ওঠা হাদি মাতার নামে এক তরুণ তাকে ছুরি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। যদিও এরই মধ্যে হাদি মাতার গ্রেফতার হয়েছেন। এ বিষয়ে কারাগার থেকে নিউইয়র্ক পোস্টকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হামলাকারী। হাদি মাতার বলেন, হামলার পর যখন জানতে পারলাম তিনি (সালমান রুশদি) বেঁচে আছেন তখন হতবাক হয়েছি। তাছাড়া খামেনিকে (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা) শ্রদ্ধা করার কথাও জানান তিনি। হামলাকারী বলেন, আয়াতুল্লাহ খামেনিকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি মনে করি সে একজন মহান ব্যক্তি। রুশদির বিতর্কিত বইটির মাত্র দুইটি পৃষ্ঠা পড়ার কথাও জানান হাদি। হাদি বলেছেন, খামেনির দেওয়া কোনো ফতোয়া হামলা করতে তাকে প্ররোচিত করেনি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি রুশদি সম্পর্কে বলেন, তাকে আমি খুব বেশি পছন্দ করি না। তিনি ইসলামের ওপর হামলা করেছেন। তিনি মুসলিমদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ বই স্যাটানিক ভার্সেস হলো সবচেয়ে বিতর্কিত কাজ যা তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজিরবিহীন বিপদে ফেলে দেয়। বইটি প্রকাশের পর হত্যার হুমকি আসে, যা তাকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করে। ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসে। ১৯৮৯ সালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির মৃত্যুদ- ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেন।