ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সার্চ কমিটি রেখেই হচ্ছে ইসি গঠনের আইন

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের সুযোগ রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“এই আইনটা খুব ছোটো আইন। এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে, যেটা অন্যান্য আইনে যেভাবে আছে, ঠিক সেইভাবেই।
“অনুসন্ধান কমিটিও একটা করা হবে এবং সেটাও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে এবং সেটার দায়িত্ব ও কার্যাবলী… সুইটেবল কেন্ডিডেটের নাম রেকমেন্ড করবে।”
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন গত ৫০ বছরেও হয়নি। গেল এক দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেজন্য গত দুইবারের মত এবারও তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছেন। প্রায় সব দলই সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছে। কয়েকটি দল নতুন সার্চ কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করলেও কেউ কেউ বলেছে এ প্রক্রিয়ার ‘কোনও দরকার নেই’।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর আগে বলেছিলেন, তিনিও এ আইন চান, কিন্তু এবার আইন করার মত সময় হাতে নেই। আইনের একটি প্রস্তাব আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যেই সংসদে তোলা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। আইনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এবারও যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, সে ইংগিত আইনমন্ত্রীও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সংলাপের শেষ দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গভবনে যাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হল সার্চ কমিটি রেখেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সার্চ কমিটি রেখেই হচ্ছে ইসি গঠনের আইন

আপডেট সময় : ০২:০৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতির নির্দেশে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের সুযোগ রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন পায়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“এই আইনটা খুব ছোটো আইন। এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে, যেটা অন্যান্য আইনে যেভাবে আছে, ঠিক সেইভাবেই।
“অনুসন্ধান কমিটিও একটা করা হবে এবং সেটাও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে এবং সেটার দায়িত্ব ও কার্যাবলী… সুইটেবল কেন্ডিডেটের নাম রেকমেন্ড করবে।”
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন। কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন গত ৫০ বছরেও হয়নি। গেল এক দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। সেজন্য গত দুইবারের মত এবারও তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেছেন। প্রায় সব দলই সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছে। কয়েকটি দল নতুন সার্চ কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করলেও কেউ কেউ বলেছে এ প্রক্রিয়ার ‘কোনও দরকার নেই’।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর আগে বলেছিলেন, তিনিও এ আইন চান, কিন্তু এবার আইন করার মত সময় হাতে নেই। আইনের একটি প্রস্তাব আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যেই সংসদে তোলা যাবে বলে তিনি আশা করছেন। আইনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এবারও যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, সে ইংগিত আইনমন্ত্রীও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সংলাপের শেষ দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গভবনে যাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হল সার্চ কমিটি রেখেই।