ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

সারাক্ষণই নেগেটিভ কনটেন্ট দেখা ক্ষতিকর

  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

লাইস্টাইল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডে অনেক ধরনের কনটেন্ট আসে। কখনো মজার ভিডিও আবার কোনোটা ভীষণই ইমোশনাল। তা মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো পোস্ট। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণই নেগেটিভ কনটেন্ট দেখে সময় কাটান, তাহলে বিপদ। নেগেটিভ ভিডিও, নিউজের মতো কনটেন্ট সরাসরি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এ এক নেশার মতো। ক্রমাগত নেগেটিভ কনটেন্টই দেখতে ইচ্ছা করে। এই নেশাকে বলে ‘ডুমস্ক্রোলিং’।
‘ডুমস্ক্রোলিং’ শব্দটি ২০২০ সালে জনপ্রিয় হয়। বিশেষত লকডাউনে। তখন সময় কাটানো হোক বা খবর জানা— মাধ্যম ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু ‘ডুমস্ক্রোলিং’ শুধু মাত্র নেতিবাচক কনটেন্ট দেখাকেই বলে। সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে স্ক্রোলিং ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। সেখানে আপনি যদি ক্রমাগত নেগেটিভ কনটেন্ট দেখেন, নেতিবাচক খবরই খুঁজতে থাকেন, তা আপনার জন্য ক্ষতিকর। ডুমস্ক্রোল করার সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে, দুনিয়ায় কোথায় কী ঘটছে তা সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য এমনটা করছেন। কিন্তু এই ‘নেগেটিভ’ স্ক্রোলিংই আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নেগেটিভ কনটেন্টই দেখার ফলে বা ‘ডুমস্ক্রোলিং’য়ের জেরে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে। যত বেশি নেগেটিভ স্টোরি দেখবেন, হতাশা বাড়বে। আসলে, যখন আপনি নিউজ় ফিডে স্ক্রোল করতে থাকেন, লুপে পড়ে যান। অবিরাম বুড়ো আঙুল চলতে থাকে। এটাও একধরনের ওসিডি বা অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার। এই সমস্যা স্ট্রেস বাড়ায়। মাথার ভিতরও নেগেটিভ চিন্তা চলতে থাকে। এখান থেকে অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাকও হয়; এমনকি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ও যদি ফোনকে সঙ্গী করেন এবং শুয়ে শুয়ে নিউজ ফিড স্ক্রোল করতে থাকেন, তখন বাড়ে অনিদ্রার সমস্যা।
মানসিক চাপ, অবসাদ কমাতে ও ডুমস্ক্রোলিং এড়াতে যা করতে হবে, তা হলো-
= ডিজিটাল ডিটক্স ‘ডুমস্ক্রোলিং’ এড়ানোর সহজ ও কার্যকর উপায়। সহজ কথায়, ফোন, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যতা দূরে থাকা যায়, ততই ভালো। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন।
= স্ক্রিন টাইম ‘লিমিটেড’ রাখুন। কতক্ষণ ফোন ঘাঁটবেন, সেটা আপনার হাতেই রয়েছে। একটা সময় ঠিক করুন, তার বেশি সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করবেন না।
= ডুমস্ক্রোলিং যে হেতু নেগেটিভ কনটেন্টকে ঘিরে, তাই চেষ্টা করুন এই ধরনের কনটেন্টকে এড়িয়ে চলার। সেই সব পেজ, চ্যানেল ফলো করুন, যেখানে পজ়িটিভ কনটেন্ট দেখা যায়।
= যখনই বুঝতে পারবেন ডুমস্ক্রোলিংয়ের জেরে স্ট্রেস বাড়ছে, অতিরিক্ত ভাবছেন (ঙাবৎঃযরহশরহম) কিংবা মন খারাপ থাকছে, ফোন থেকে দূরে সরে আসুন। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করা বন্ধ করে দিন। এর পাশাপাশি স্ট্রেস কমানোর জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজ় করুন।
= খাবার টেবিলে ও ঘুমোতে যাওয়ার সময় ফোনকে সঙ্গী করবেন না। এর পাশাপাশি অনলাইনে গেম খেলা, ই-বুক পড়ার মতো অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সারাক্ষণই নেগেটিভ কনটেন্ট দেখা ক্ষতিকর

আপডেট সময় : ০৫:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

লাইস্টাইল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডে অনেক ধরনের কনটেন্ট আসে। কখনো মজার ভিডিও আবার কোনোটা ভীষণই ইমোশনাল। তা মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো পোস্ট। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষণই নেগেটিভ কনটেন্ট দেখে সময় কাটান, তাহলে বিপদ। নেগেটিভ ভিডিও, নিউজের মতো কনটেন্ট সরাসরি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এ এক নেশার মতো। ক্রমাগত নেগেটিভ কনটেন্টই দেখতে ইচ্ছা করে। এই নেশাকে বলে ‘ডুমস্ক্রোলিং’।
‘ডুমস্ক্রোলিং’ শব্দটি ২০২০ সালে জনপ্রিয় হয়। বিশেষত লকডাউনে। তখন সময় কাটানো হোক বা খবর জানা— মাধ্যম ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু ‘ডুমস্ক্রোলিং’ শুধু মাত্র নেতিবাচক কনটেন্ট দেখাকেই বলে। সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে স্ক্রোলিং ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। সেখানে আপনি যদি ক্রমাগত নেগেটিভ কনটেন্ট দেখেন, নেতিবাচক খবরই খুঁজতে থাকেন, তা আপনার জন্য ক্ষতিকর। ডুমস্ক্রোল করার সময় আপনার হয়তো মনে হতে পারে, দুনিয়ায় কোথায় কী ঘটছে তা সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য এমনটা করছেন। কিন্তু এই ‘নেগেটিভ’ স্ক্রোলিংই আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নেগেটিভ কনটেন্টই দেখার ফলে বা ‘ডুমস্ক্রোলিং’য়ের জেরে অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে। যত বেশি নেগেটিভ স্টোরি দেখবেন, হতাশা বাড়বে। আসলে, যখন আপনি নিউজ় ফিডে স্ক্রোল করতে থাকেন, লুপে পড়ে যান। অবিরাম বুড়ো আঙুল চলতে থাকে। এটাও একধরনের ওসিডি বা অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার। এই সমস্যা স্ট্রেস বাড়ায়। মাথার ভিতরও নেগেটিভ চিন্তা চলতে থাকে। এখান থেকে অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাকও হয়; এমনকি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ও যদি ফোনকে সঙ্গী করেন এবং শুয়ে শুয়ে নিউজ ফিড স্ক্রোল করতে থাকেন, তখন বাড়ে অনিদ্রার সমস্যা।
মানসিক চাপ, অবসাদ কমাতে ও ডুমস্ক্রোলিং এড়াতে যা করতে হবে, তা হলো-
= ডিজিটাল ডিটক্স ‘ডুমস্ক্রোলিং’ এড়ানোর সহজ ও কার্যকর উপায়। সহজ কথায়, ফোন, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যতা দূরে থাকা যায়, ততই ভালো। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন।
= স্ক্রিন টাইম ‘লিমিটেড’ রাখুন। কতক্ষণ ফোন ঘাঁটবেন, সেটা আপনার হাতেই রয়েছে। একটা সময় ঠিক করুন, তার বেশি সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করবেন না।
= ডুমস্ক্রোলিং যে হেতু নেগেটিভ কনটেন্টকে ঘিরে, তাই চেষ্টা করুন এই ধরনের কনটেন্টকে এড়িয়ে চলার। সেই সব পেজ, চ্যানেল ফলো করুন, যেখানে পজ়িটিভ কনটেন্ট দেখা যায়।
= যখনই বুঝতে পারবেন ডুমস্ক্রোলিংয়ের জেরে স্ট্রেস বাড়ছে, অতিরিক্ত ভাবছেন (ঙাবৎঃযরহশরহম) কিংবা মন খারাপ থাকছে, ফোন থেকে দূরে সরে আসুন। সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করা বন্ধ করে দিন। এর পাশাপাশি স্ট্রেস কমানোর জন্য ব্রিদিং এক্সারসাইজ় করুন।
= খাবার টেবিলে ও ঘুমোতে যাওয়ার সময় ফোনকে সঙ্গী করবেন না। এর পাশাপাশি অনলাইনে গেম খেলা, ই-বুক পড়ার মতো অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।