ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

সাম্প্রদায়িক হামলায় সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে: মির্জা ফখরুল

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িক হামলায় সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই এমনটা করেছে।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী অধিকার ফোরাম আয়োজিত “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আজকের প্রেক্ষাপট, আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের ভূমিকায় একথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী, এ নিয়ে কোনও কনফিউশন নেই। জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সরকার এ ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে দিয়ে সে আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নিতে চায়। তিনি বলেন, সংবিধানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ছিল। সে বিধানকে ২০১২ সালে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, বাংলাদেশে সহিংসতা ও অস্থিরতা পাকা-পোক্ত করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আজকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা বিনষ্ট করছে তারা অত্যন্ত সুচতুরভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটি দলকে স্থায়ীভাবে রাখার জন্য কাজ করছে। তারা যেন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য হতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রার্থনার বদলে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। একবার হুংকার দিলে সরকার থাকবে না। এই সরকার কাগুজে বাঘ হয়ে গেছে। ছোট একটা টোকা দিলেই সরকার পড়ে যাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই হামলা কোনও সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, এটা রাজনৈতিক হামলা এটাকে সাম্প্রদায়িক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে মানুষ পছন্দ করে না। এবারের মত আনন্দহীন পূজা আমি দেখি নাই। বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ আনন্দহীন পূজা উদযাপন করেছ। আর মজা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আমরা বিএনপির সঙ্গে যারা আছি প্রত্যেকেই সমমনা বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা মানবিকতায় বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরাই হলাম সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক দল।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশে কী এমন হয়েছে যে, সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ঘটনা ঘটলো। দাঙ্গা তৈরি হলে তো দুটি সাম্প্রদায়িক শক্তি মুখোমুখি হবে কিন্তু দেশে তা কি হয়েছে? কুমিল্লায় কোনও হিন্দু কি মন্দিরে কোরআন রেখেছে? আমরা সেটা বিশ্বাস করি না। এটা কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। এ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐক্যের উদ্যোগ বিএনপিকেই নিতে হবে। যারা আক্রমণ করলো তারাই এখন সম্প্রীতির মিছিল করছে মন্তব্য করে গণফোরাম (একাংশ) নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারা আমাদের কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। বৈঠকে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাম্প্রদায়িক হামলায় সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১২:১৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িক হামলায় সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে তারা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই এমনটা করেছে।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী অধিকার ফোরাম আয়োজিত “অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আজকের প্রেক্ষাপট, আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচকের ভূমিকায় একথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী, এ নিয়ে কোনও কনফিউশন নেই। জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সরকার এ ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে দিয়ে সে আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নিতে চায়। তিনি বলেন, সংবিধানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ছিল। সে বিধানকে ২০১২ সালে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, বাংলাদেশে সহিংসতা ও অস্থিরতা পাকা-পোক্ত করা হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আজকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা বিনষ্ট করছে তারা অত্যন্ত সুচতুরভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটি দলকে স্থায়ীভাবে রাখার জন্য কাজ করছে। তারা যেন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য হতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, প্রার্থনার বদলে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। একবার হুংকার দিলে সরকার থাকবে না। এই সরকার কাগুজে বাঘ হয়ে গেছে। ছোট একটা টোকা দিলেই সরকার পড়ে যাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই হামলা কোনও সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, এটা রাজনৈতিক হামলা এটাকে সাম্প্রদায়িক বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে মানুষ পছন্দ করে না। এবারের মত আনন্দহীন পূজা আমি দেখি নাই। বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ আনন্দহীন পূজা উদযাপন করেছ। আর মজা নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আমরা বিএনপির সঙ্গে যারা আছি প্রত্যেকেই সমমনা বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা মানবিকতায় বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরাই হলাম সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক দল।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশে কী এমন হয়েছে যে, সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ঘটনা ঘটলো। দাঙ্গা তৈরি হলে তো দুটি সাম্প্রদায়িক শক্তি মুখোমুখি হবে কিন্তু দেশে তা কি হয়েছে? কুমিল্লায় কোনও হিন্দু কি মন্দিরে কোরআন রেখেছে? আমরা সেটা বিশ্বাস করি না। এটা কোনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। এ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐক্যের উদ্যোগ বিএনপিকেই নিতে হবে। যারা আক্রমণ করলো তারাই এখন সম্প্রীতির মিছিল করছে মন্তব্য করে গণফোরাম (একাংশ) নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, তারা আমাদের কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। বৈঠকে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।